কোনো সংলাপ না করার ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কোনো সংলাপ হবে না। এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে এ কথা বলেন তিনি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহিলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকেই বলেন ডায়ালগ করতে হবে, আলোচনা করতে হবে। আলোচনা কাদের সঙ্গে? ওই বিএনপি-খালেদা জিয়া-তারেক সাজাপ্রাপ্ত আসামি। যারা আমাকে গ্রেনেড হামলা করে হত্যার চেষ্টা করেছে, তাদের সঙ্গে?’

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। কারণ জিয়া খুনী, খালেদা জিয়া খুনী, তারেক জিয়া খুনী। তারেক জিয়া শুধু খুনী নয়, অর্থ পাচারকারী ও অস্ত্র চোরাকারবারী। ওদের কি অধিকার আছে মানুষের সামনে দাঁড়ানোর, ভোট চাওয়ার কিংবা রাজনীতি করার? তারপরও আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র রয়েছে। নির্বাচন কমিশন আছে। নির্বাচনে যে কোনো দল চাইলেই অংশ নিতে পারে। আর যদি কোনো দলের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সামর্থ্য না থাকে, তাহলে তারা পারবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন করবে, তারা ভোট দেবে। তারা ভোট চুরি মেনে নেয় না। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিল। বাংলাদেশের জনগণ আন্দোলন করে তাকে মাত্র দেড় মাসের মাথায় ক্ষমতা থেকে টেনে নামায়। ভোট চুরির অপরাধে পদত্যাগে বাধ্য হয় খালেদা জিয়া।

বিএনপির আন্দোলন প্রসংগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মিছিল করছে, আন্দোলন করছে, শ্লোগান দিচ্ছে, তাদের যা ইচ্ছা করতে পারছে। আমরা তো তাদের বাধা দিচ্ছি না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বলেছি- আপনারা আন্দোলন করেন, সংগ্রাম করেন, মিটিং-মিছিল করেন, কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যদি কোন মানুষকে পুড়িয়ে মারা, বোমা মারা বা গ্রেনেড মারা কিংবা এ ধরনের অত্যাচার করতে যায় কেউ, তাহলে একটাকেও ছাড়ব না। আমরা সহ্য করছি দেখে কেউ যেন মনে না করে, এটা আমাদের দুর্বলতা।

এর আগে বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।