কাতার বিশ্বকাপ শুরুর আগে একের পর এক বিপর্যয় নেমে এসেছিল ফ্রান্সের ওপর। একজন দুজন নয়, সাতজন খেলোয়াড় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন চোট নিয়ে। চোটের মিছিলে ছিল এনগোলো কান্তে, পল পগবা এবং করিম বেনজেমার মতো বড়বড় নাম। খুব স্বাভাবিকভাবেই ফরাসিদের স্বপ্নযাত্রা নিয়ে দেখা দেয় সংশয়।
ফ্রান্সের জার্সিতে কিলিয়ান এমবাপ্পের গোল এখন ৩১টি
অথচ সবার আগে নক আউট পর্বের টিকিট কাটল এই ফ্রান্সই। আজ শনিবার ‘অল ইউরোপিয়ান’ মহারণে ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে দিদিয়ের দেশামের দল উঠে গেল শেষ ষোলোতে। দুই ম্যাচে ছয় পয়েন্ট তাদের। বিপরীতে দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট পাওয়া ডেনিশদের পরের রাউন্ডে যাওয়ার পথটা কঠিন হয়ে গেল। তিন পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া।
টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দাপুটে পারফরম্যান্সে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে হারায় ফ্রান্স। ডেনমার্কের বিপক্ষে জয়ের জন্য অবশ্য ভালোই কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাদের। শেষ পর্যন্ত কিলিয়ান এমবাপ্পের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ওপর দাঁড়িয়ে আসরের প্রথম দল হিসেবে গ্রুপপর্বের বাধা পাড়ি দিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ প্রথমার্ধ কেটেছে গোলখরায়। ম্যাচের বয়স এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও খুলছিল না গোলমুখ। অবশেষে দারুণ এক গোলে ফ্রান্সকে লিড এনে দেন এমবাপ্পে। কিন্তু ফরাসিদের লিড নেওয়ার আনন্দ মাটিতে মিশে যেতে সময় লাগেনি। ৬৮ মিনিটে সমতায় ফেরে ডেনমার্ক।
অ্যান্ডারসনের সহায়তায় ফরাসিদের জালের ঠিকানা খুঁজে নেন আন্দ্রেস ক্রিশ্চেনসেন। বার্সেলোনা ডিফেন্ডার স্কোর লাইন ১-১ করেন। ম্যাচ ড্রয়ের আশঙ্কা জাগায়। পরে আশঙ্কা উড়িয়ে দেন সেই এমবাপ্পেই। নির্ধারিত সময়ের মিনিট চারেক বাকি থাকতে ফের দলকে এগিয়ে দেন পিএসজি সুপারস্টার।
ফ্রান্সের জার্সিতে ২৩ বছর বয়সী তারকার এটা ৩১তম গোল। এই গোলটিই ম্যাচের ভাগ্য ফ্রান্সের পক্ষে নির্ধারণ করে দিয়েছে। এবারের জয়ে কুড়ি বছর আগের দুঃস্বপ্ন ভুলল ফরাসিরা। সেবার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দল হয়েও গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিতে হয় তাদের। এই শতাব্দীতে ব্রাজিলের পর চ্যাম্পিয়ন দল হিসেব নক আউট পর্বে উঠল ফ্রান্স।