তেল কিনতে রাশিয়ার পথে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাশিয়া থেকে ছাড়কৃত মূল্যে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করতে মস্কোর পথে রওনা হয়েছে পাকিস্তানের একটি প্রতিনিধি দল। সফরকালে পাকিস্তানি দলটি রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তেলের মূল্য পরিশোধের প্রক্রিয়া, পরিবহন ব্যয় ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করবে। ইসলামাবাদে জ্বালানি ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র এ কথা জানিয়েছে।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে রুশ তেল জাহাজীকরণ ও মূল্য পরিশোধ বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে
প্রতিনিধি দলে পাকিস্তানের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. মুসাদিক মালিক, পেট্রোলিয়াম ডিভিশনের ইন-চার্জ অতিরিক্ত সচিব ক্যাপ্টেন (অবঃ) মুহাম্মাদ মাহমুদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা রয়েছেন। তারা কয়েকদিন মস্কোতে অবস্থান করবেন এবং রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জ্বালানি আমদানির সম্ভাবনা ও অন্যান্য বিষয়ে বৈঠক করবেন।
এর আগে শুক্রবার একটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, পাকিস্তানি প্রতিনিধিরা তেল আমদানির সম্ভাব্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে রাশিয়া যাবেন। আমরা দোয়া করছি যাতে সফরটি সফল হয় এবং সরকার অনুকূল শর্তে একটি আমদানি চুক্তি সম্পাদন করতে পারে।
পাকিস্তানের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা দ্য নিউজকে বলেন, তেল আমদানির চুক্তির পাশাপাশি উভয় পক্ষ দুইটি গ্যাস পাইপলাইনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ভবিষ্যৎমুখী সহযোগিতার বিষয়েও কথা বলবে। এর মধ্যে করাচি থেকে লাহোর পর্যন্ত পাকিস্তান স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইন (পিএসজিপি) ছাড়াও রয়েছে রাশিয়া থেকে কাজাখস্তান হয়ে পাকিস্তান পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প।
তিনি বলেন, তিন বিলিয়ন ডলারের পিএসজিপি প্রকল্পটি থমকে আছে। রাশিয়া-কাজাখস্তান-পাকিস্তান পাইপলাইন নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। তেল আমদানির উপায়ের পাশাপাশি এসব ইস্যুতেও কথা হবে। মস্কোতে পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তারাও বৈঠকে যোগ দেবেন। রাশিয়ার তেল আমদানির ক্ষেত্রে বড় বাঁধা হলো মূল্য পরিশোধের মাধ্যম। সেটা চূড়ান্ত হলে এবং নির্ধারিত মূল্য ও ট্রেডারদের প্রিমিয়াম যোগ করার পরও দর অনুকূল হলে পাকিস্তানি রিফাইনারিগুলো রুশ তেল আমদানি শুরু করবে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানিতে আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে মূল্যসীমা আরোপের লক্ষ্য ঘোষণা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এ মূল্যসীমায় অংশ নিতে পারে। যদিও জোটের কয়েকটি সদস্য দেশের এ বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। এ কারণে মূল্যসীমা আরোপের সময় পিছিয়েও যেতে পারে।
রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে পরিচিত ব্র্যান্ড উরাল। বর্তমানে উরালের বাজার দর চলছে ব্যারেল প্রতি ৫২ ডলার। জি-৭ দেশগুলো রাশিয়ার তেলে প্রতি ব্যারেল ৬৫-৭০ ডলার পর্যন্ত সর্বোচ্চ মূল্যসীমা আরোপ করতে পারে। মূল্যসীমা আরোপের পর ইইউ দেশগুলো নির্ধারিত মূল্যে বিক্রিত রুশ তেল পরিবহনের জন্য নিজেদের নৌযান ব্যবহার করবে এবং সুইফট নেটওয়ার্কের অন্তর্গত ব্যাংকের মাধ্যমে ওইসব চালানের মূল্য পরিশোধ করতে দেবে।
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর