নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আর্জেন্টিনায় মামলা

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে আর্জেন্টিনায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে দেশটির মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘মাদার্স অব প্লাজা দে মায়ো ফাউন্ডিং লাইন’, ‘পিস অ্যান্ড জাস্টিস সার্ভিস (এসইআরপিএজে)’, ‘ফ্যামিলিস অব দ্য ডিসঅ্যাপিয়ার্ড অ্যান্ড ডিটেইন্ড ফর পলিটিক্যাল রিজনস’ এবং ‘আর্জেন্টিনা লিগ ফর হিউম্যান রাইটস’ যৌথভাবে এই অভিযোগ দায়ের করেছে। সংগঠনগুলোর অভিযোগ, নেতানিয়াহু ‘গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের’ জন্য দায়ী। তারা এই বিষয়ে বিচারিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

ফৌজদারি অভিযোগে বলা হয়েছে, আগামী ৭ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর নেতানিয়াহুর আর্জেন্টিনা সফরের সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই এই অপরাধমূলক নীতির সহযোগী হিসেবে গণ্য হবেন।

অভিযোগে ইসরায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ‘পরিকল্পিতভাবে নির্মূলকরণের নীতি’ অনুসরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে বলা হয়, ইসরায়েল জীবনধারণ, মানবিক মর্যাদা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের মতো মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘আর্জেন্টিনার জনগণ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো গণঅপরাধের অর্থ কী, তা অভিজ্ঞতা থেকে জানে। গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। দশ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইসরায়েলি সরকার ওষুধ, খাদ্য এবং মানবিক সহায়তার প্রবেশে বাধা দিয়েছে। ইসরায়েলের আরোপিত এই অবরোধ পুরো গাজাকে প্রভাবিত করছে।’

আর্জেন্টিনার ফৌজদারি আদালতে দায়ের করা এই মামলায় নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অ্যাডলফো পেরেজ এসকুইভেলসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বহু মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিরা সমর্থন জানিয়েছেন।

আর্জেন্টিনায় নেতানিয়াহুকে আইনগতভাবে জবাবদিহির আওতায় আনার এটিই প্রথম প্রচেষ্টা নয়। এর আগে গত ১২ আগস্ট ‘দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব স্টেট ওয়ার্কার্স (এটিই)’ এবং ‘হিজোস (চিলড্রেন ফর আইডেন্টিটি অ্যান্ড জাস্টিস এগেইনস্ট অবলিভিয়ন অ্যান্ড সাইলেন্স)’ নামে দুটি সংগঠন বুয়েনস আইরেসের একটি ফেডারেল আদালতে তার বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগ দায়ের করে। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে তারা নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।