আপনি পড়ছেন

চলমান বিক্ষোভ দমনে বিভিন্ন শহরে ট্যাঙ্ক, কামান ও সাঁজোয়া যানের মতো ভারী অস্ত্র ও বিপুল জনবল মোতায়েন করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। নতুন করে আরও কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারের কঠোর কোভিড নীতি ও লকডাউনের প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভে কোনো কোনো শহরে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে।

china protest tlsd সাংহাইয়ের সড়কে টহল দিচ্ছে সাঁজোয়া যান, মোতায়েন রয়েছে বিপূল সংখ্যক সেনা ও পুলিশ

বাণিজ্যিক নগরী সাংহাই ও রাজধানী বেইজিংয়ের পর হেনান ও ঝিনজিয়াং প্রদেশে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। হেনান প্রদেশের ঝেনজৌ শহরে আইফোন প্রস্তুতে নিযুক্ত ফক্সকনের কারখানায় শ্রমিকরা গতকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করেছে। কর্মরত শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ শেষে ওই কারখানার ভেতরেই ঘুমাতে বাধ্য হচ্ছিলেন। কোভিড সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ কারখানা শ্রমিকদের বাসাবাড়িতে যাতায়াত নিষিদ্ধ করেছিল।

সাংহাই থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা জানাচ্ছেন, গত ১৬ ঘন্টায় শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বেশকিছু কামান, সাঁজোয়া যান ও অন্যান্য ভারী সমরাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি বিপুল সংখ্যায় রায়ট কন্ট্রোল আর্মার্ড ভেহিকল মোতায়েন করা হয়েছে। সাংহাই হয়ে দূরবর্তী শহরগুলোর দিকেও ভারী সামরিক যানবাহন যেতে দেখা গেছে।

চীন সরকারের অনুসৃত শূন্য কোভিড নীতি ও কঠোর লকডাউনে দেশটির বহু জায়গায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জীবনযাত্রা থমকে পড়ার উপক্রম হয়েছে। অর্থনৈতিক দুর্দশার পাশাপাশি সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় ক্ষুব্ধ মানুষ শেষপর্যন্ত বিধিনিষেধ ভেঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় ঝিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের (এক্সইউএআর) রাজধানী উরুমচিতে কোভিড লকডাউন চলছে তিন মাস ধরে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উরুমচির একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে দুই শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়।

নিহতদের সবাই জাতিগত তুর্কি উইঘুর বংশোদ্ভূত নাগরিক। অভিযোগ রয়েছে, লকডাউনের কারণে ভবনটির প্রবেশপথ বন্ধ থাকায় ও বাইরে পুলিশ সদস্যদের বাধা থাকায় অগ্নিকবলিত ভবনটির অধিবাসীরা প্রাণ বাঁচাতে বেরোতে পারেননি। ওয়েইবোসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে উরুমচির ভবনটির আগুন ও বাইরে গেটে পাহারারত পুলিশের ভিডিও শেয়ার হতে থাকলে মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে।

সাংহাইয়ে বিক্ষোভকারীরা শহরের অন্যতম জনসমাগমের কেন্দ্রটিকে উরুমচি লু নাম দিয়েছে। উরুমচিতে নিহতদের স্মরণে তারা জায়গাটির এ নাম দিয়েছেন। সমবেত বিক্ষোভকারীদের সমস্বরে চীনের জাতীয় সঙ্গীত ও কমিউনিস্ট পার্টির ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল’ সঙ্গীত গাইতে দেখা যায়। পাশেই আরেক দল বিক্ষোভকারী ‘কমিউনিস্ট পার্টি নিপাত যাক’ ‘শি জিনপিংয়ের পতন হোক’ ‘জিনজিয়াং মুক্ত হোক’ স্লোগান দিতে থাকে। সাংহাই পুলিশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে।

জিনজিয়াংয়ের মতোই কঠোর কোভিড নীতির কবলে পড়েছে তিব্বত স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের রাজধানী লাসা। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ওতান, কোরিয়া, মধ্যাঞ্চলীয় শহর লানঝৌ, দক্ষিণাঞ্চলে গুয়াংঝৌ, চংকিং, উহান, জিয়ান ও ঝেনজৌ থেকেও সরকারবিরোধী বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। এসব বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কোথায় কয়েক হাজার, আবার কোথাও হয়তো শখানেক মানুষ জড়ো হয়ে স্লোগান দিচ্ছেন।

নানজিং শহরে বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনের শিক্ষার্থীরা টানা দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল রাতেও মোবাইলে আলো জ্বালিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে-বাইরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ সময় তারা ‘জনতা দীর্ঘজীবী হোক’ শান্তি কায়েম হোক’ স্লোগান দেয়।

রাজধানী বেইজিংয়ের সিতং ব্রিজের কাছে রোববার রাত থেকে কিছু বিক্ষোভকারী অবস্থান নিয়েছেন। এদের অনেকে সড়কদ্বীপ ও রোড ডিভাইডারে তাঁবু খাটিয়ে রাত্রিযাপন করেন। বিক্ষোভকারীদের হাতে চীন সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা গেছে। বেইজিংয়ের জিংহুয়া রিসার্চ ইউনিভার্সিটিতেও সরকারের লকডাউন নীতির বিরুদ্ধে মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

জাতিসংঘ মহাসচিবের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে চীন সরকারের প্রতি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারকে সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চীনে চলমান বিক্ষোভ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। আমরা সবসময় মানুষের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার সমর্থন করি।

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.