অ্যাসাঞ্জের বিচার নিয়ে ক্ষেপলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। তিনি বলেছেন, উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। যথেষ্ট হয়েছে, আর না। ব্যক্তিগতভাবে মার্কিন কর্মকর্তাদের তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন। অ্যালবানিজ পার্লামেন্টকে বলেন, এই বিষয়টির সমাপ্তি টানার সময় এসেছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
অ্যাসাঞ্জের বিচার নিয়ে ক্ষেপলেন অ্যালবানিজ
অস্ট্রেলিয়ার নেতা বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছি। আমার অবস্থান পরিষ্কার। এ সময় তিনি প্রশ্ন তোলেন, অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রাখার অর্থ কী। তার দাবি, এই বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।
অ্যাসাঞ্জ একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। ২০১৯ সাল থেকে লন্ডনের উচ্চনিরাপত্তার অধিকারী বেলমার্শ কারাগারে বন্দি রয়েছেন। আগের একটি মামলায় জামিন সংক্রান্ত সমস্যায় তাকে ইকুয়েডরের দূতাবাসে বছরের পর বছর কাটাতে হয়েছিল।
২০১০ সালে ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধ সম্পর্কে মার্কিন সামরিক গোপনীয়তা প্রকাশ করার জন্য তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। তাকে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হয়, তবে তাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কারাগারে ১৭৫ বছর পর্যন্ত সাজা ভোগ করতে হবে।
অ্যালবানিজ অ্যাসাঞ্জের আচরণকে চেলসি ম্যানিংয়ের সাথে তুলনা করেছেন। গোপন নথি চুরি করার জন্য ম্যানিংয়ের ৩৫ বছর জেল হয়েছিল। কিন্তু পরে ২০১৭ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সাজা কমিয়ে দিয়েছিলেন। ম্যানিং যুক্তরাষ্ট্রে এখন অবাধে চলাফেরা করতে পারেন।
শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার আইনজীবী জেনিফার রবিনসন অ্যাসাঞ্জের হয়ে লড়ছেন। তিনি বলেন, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ 'খুব অন্ধকার' পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন এবং অস্ট্রেলিয়ান সরকারকে উইকিলিকসের সহপ্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ সৃষ্টি করা উচিত।
জেনিফার বলেন, অ্যাসাঞ্জকে গত মাসে লন্ডনের বেলমার্শ কারাগারে দেখতে গিয়েছিলাম। একটি মিনি স্ট্রোক হওয়ার পর থেকে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। গার্ডিয়ান অস্ট্রেলিয়ার সাথে একটি সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, অ্যাসাঞ্জ কারাগারে কোভিড আক্রান্ত হন এবং তার শারীরিক অবস্থা আগের মতো নেই।
অ্যাসাঞ্জের নতুন স্ত্রী স্টেলা মরিস বলেন, তার স্বামীর বর্তমান শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য খুবই সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তার চিকিৎসা ও পরিচর্যা জরুরি। আমরা জানি না তিনি আর কতদিন টিকে থাকবেন।
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর