জাপান-ক্রোয়েশিয়া: কী বলছে পরিসংখ্যান
- Details
- by খেলাধুলা ডেস্ক
কাতার বিশ্বকাপের গ্রপপর্ব ছিল অঘটনে ঠাসা। চমক দেখিয়েছে আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের দলগুলো। সবচেয়ে বড় চমক নিয়ে হাজির হয়েছে জাপান। গ্রুপপর্বের দুই ম্যাচেই নীল সামুরাইরা হারিয়ে দেয় ইউরোপের দুই পরাশক্তি স্পেন ও জার্মানিকে।
জাপান-ক্রোয়েশিয়া
দুটো ম্যাচেই প্রথমার্ধে পিছিয়ে ছিল জাপান। দ্বিতীয়ার্ধে স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন করে তারা। বিস্ময়করভাবে সাবেক দুই চ্যাম্পিয়নকে পেছনে ফেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জাপানিজরা। শেষ ষোলোর ম্যাচে আজ জাপানের সামনে ইউরোপের আরেক দল- ক্রোয়েশিয়া।
মহারণটা জাপানের জন্য ইতিহাস গড়ার উপলক্ষ্য। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে টিকিট পেতে হলে তাদের বিদায় করতে হবে গতবারের রানার্সআপ দলটিকে। ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি। যা সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি, জিটিভি, টি স্পোর্টস ও টফিলাইভ।
বল মাঠে গড়ানোর আগে দেখে নেওয়া যাক দুই দলের পরিসংখ্যান কী বলছে:
* বিশ্বকাপে এ নিয়ে তৃতীয়বার দেখা হচ্ছে ক্রোয়েশিয়া ও জাপানের। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়া জেতে ১-০ গোলে। ২০০৬ সালে গোলশূন্য ড্র করে দুই দল। দুটি ম্যাচই ছিল গ্রুপপর্বের।
* ২০০২ সালে তুরস্ক, ২০১০ সালে প্যারাগুয়ে এবং ২০১৮ সালে বেলজিয়ামের কাছে হেরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় জাপান।
* এশিয়ার একমাত্র দল হিসেবে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা আছে দক্ষিণ কোরিয়ার। ২০০২ সালে স্বাগতিক কোরিয়া সেমিফাইনালেও উঠেছিল। এর আগে ১৯৬৬ সালে শেষ আটে উঠেছিল উত্তর কোরিয়া।
* বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে সবশেষ আট ম্যাচের দুটিতে হেরেছে ক্রোয়েশিয়া। গত বিশ্বকাপে পরপর দুই ম্যাচে টাইব্রেকারে জেতে ইউরোপিয়ান জায়ান্টরা।
* এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে জাপানের বল দখলের হার সবচেয়ে কম- ৩২ শতাংশ। স্পেনের বিপক্ষে ১৮ শতাংশ এবং জার্মানির বিপক্ষে ২৬ শতাংশ বল পজিশন নিয়েও দুটো ম্যাচে পিছিয়ে থেকে জিতেছে জাপান।
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর