রাশিয়ান ওয়াগনার গ্রুপের সদর দপ্তরে ইউক্রেনের হামলা!

রাশিয়া-ভিত্তিক ওয়াগনার গ্রুপের সদর দপ্তরে হামলা করেছে ইউক্রেন বাহিনী। রুশ অধিকৃত লুহানস্ক অঞ্চলের নির্বাসিত গভর্নর সেরহি গাইদাইয়ের একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানান। গাইদাই বলেন, লুহানস্ক অঞ্চলের প্রধান কেন্দ্রের পশ্চিমে কাদিভকা শহরের একটি হোটেলে হামলা চালায় ইউক্রেন বাহিনী। খবর রয়টার্স।

ভবনটিতে ওয়াগনার গ্রুপের সদর দপ্তর ছিল

টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, একটি ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভবনটিতে ওয়াগনার গ্রুপের সদর দপ্তর ছিল। তবে হামলার তথ্য যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।

পূর্ব ইউক্রেনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেন বাহিনী একটি হোটেলে হামলা চালিয়েছে, সেখানে রাশিয়ার ওয়াগনার সামরিক গোষ্ঠীর সদস্যদের অবস্থান ছিল। হামলায় তাদের অনেকেই নিহত হয়েছেন।

এদিকে ইউক্রেনে মস্কোর সাথে সম্পর্ক রক্ষাকারী ধর্মগুরুদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আদেশ দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সাতজন সিনিয়র ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে ওই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, মস্কোর সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্কযুক্ত অর্থোডক্স চার্চের একটি শাখার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনের দাবি, এসব অর্থডক্স নেতা ১০ মাস ধরে চলা যুদ্ধে রাশিয়ার প্রতি সহানুভূতি ছিল। ক্রেমলিন জানিয়েছে, তারা রাশিয়ান ভাষীদের রক্ষার পেছনে কাজ করছে। চারটি অঞ্চল রাশিয়ার সাথে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে এসব চার্চ ভূমিকা পালন করেছিল। রাশিয়া সমর্থিত ধর্মগুরুরা দখলীয় চারটি অঞ্চলকে রুশ ভূমি বলে মনে করে।

জেলেনস্কি রোববার রাতের ভাষণে বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসন আরও চলুক তা বিশ্ববাসী চায় না। ইউক্রেনের সমাজ ব্যবস্থা বাঁচাতে পুরো বিশ্ব একমত। আমরা ইউক্রেনের জনগণের জন্য সবকিছু করব।

অপরদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রাশিয়া ও ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার চিন্তা করছে। ইউক্রেনে তারা অস্ত্র সরবরাহের জন্য অতিরিক্ত দুই বিলিয়ন ইউরো বা ২.১১ বিলিয়ন ডলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তারা আজ সোমবার বৈঠকে বসছে।