আপনি পড়ছেন

পাঁচ বছরে কয়লাকে ছাড়িয়ে জ্বালানির বড় উৎস হয়ে উঠবে সৌরশক্তি। এই সময়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হয়ে উঠবে সারাবিশ্বে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় উৎস। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার (আইইএ) এক পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।

renewable energy solar panelsআগামী পাঁচ বছরে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন-সক্ষমতা ২ হাজার ৪০০ গিগাওয়াট বাড়বে বলে আইএ জানিয়েছে

আইইএ বলেছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ অনেক দেশে জ্বালানি সংকট সৃষ্টি করেছে। অনেকে এ দুর্যোগকে তেল-গ্যাস ছেড়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে প্রস্থানের সুযোগ হিসেবে নিয়েছে। আগে থেকে বহু দেশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছিল। ইউক্রেন যুদ্ধ তাতে গতিসঞ্চার করেছে। ২০২৭ সাল নাগাদ কয়লাকে ছাড়িয়ে যাবে সৌরশক্তি।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম দিকেই সার্বিকভাবে নবায়নযোগ্য হয়ে উঠবে বিশ্বে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় উৎস। বিগত পাঁচ বছরে পৃথিবীতে যতটুকু নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন-সক্ষমতা যোগ হয়েছে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে যোগ হবে তার দ্বিগুণ।

আইইএর নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরোল এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কেবলমাত্র জলবায়ু রূপান্তর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বিভিন্ন দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জোর দিচ্ছে, বিষয়টি এমন নয়। জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়টিও এর পেছনে কাজ করছে। এছাড়া চীনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ খাতের সরবরাহ চেইন চীন বহুমুখীকরণের তাগিদ রয়েছে।

তিনি বলেন, জ্বালানি খাতের পরবর্তী পর্বে একটি নির্ধারক ভূমিকায় থাকার বিষয়ে বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলোর মধ্যে জোর প্রতিযোগিতা রয়েছে, সেটা সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, ব্যাটারি, ইলেট্রনিক ভেহিকল যা-ই হোক না কেন। রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস আসা বন্ধ হবার পর বিকল্প জ্বালানির উৎস গড়ে তুলতে অনেক দেশ প্রণোদনা প্রবর্তন করেছে।

আইইএ প্রধান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি-নির্ভর শিল্পকে উৎসাহিত করতে ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্টের আওতায় ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের তহবিল ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে সৌর শক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রণোদনা রয়েছে, কারখানার উৎপাদন ব্যবস্থাকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর করতে রূপান্তরের জন্য তহবিলের পাশাপাশি এক হাজার কোটি ডলার কর মওকুফের ঘোষণা রয়েছে, লোকালয়গুলোতে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি প্রকল্প এগিয়ে নিতে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার গ্রিন ব্যাংক গড়ে তোলা হয়েছে।

আইইএর সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত সময়কালে বিশ্বে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়বে ২ হাজার ৪০০ গিগাওয়াট, যা চীনের বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার সমান। ২০২৭ সাল নাগাদ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে মোট ২ হাজার ৯৫০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন শিল্পে চীনের আধিপত্য ভাঙতে যে প্রয়াস চলছে তার অগ্রভাগে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। আগামী পাঁচ বছরে সৌরশকিত খাতে দুই দেশের বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার, যা বিগত পাঁচ বছরের তুলনায় সাত গুণ বেশি। এরপরও সৌরশক্তি খাতে চীনের আধিপত্য অটুট থাকবে, যদিও দেশটির বাজার-অংশ বর্তমানের ৯০ শতাংশ থেকে কমে ৭৫ শতাংশে নেমে আসবে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.