চীনে করোনায় পণ্য সরবরাহ লাইনে ধস

চীনজুড়ে নতুন করে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় শিল্প-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ট্রাকচালকদের অধিকাংশই অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিঘ্ন ঘটছে সরবরাহ লাইনে। কারখানার অসংখ্য কর্মী কাজ ছেড়ে বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। রাজধানীর বেইজিংয়ের অর্ধেক মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবর।

চীনে করোনায় পণ্য সরবরাহ লাইনে ধস

চলতি মাসের শুরুতে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শূন্য নিয়ন্ত্রণ নীতিতে পরিবর্তন আনায় করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি ব্যাপক ছড়িয়ে পড়ে। হাটে-ঘাটে-কর্মক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ শানডং এর একটি প্রিন্টেড সার্কিট কারখানার মালিক বলছেন, গত শুক্রবার মাত্র ২০ শতাংশ কর্মী কাজ করতে আসেন। অন্যরা করোনায় আক্রান্ত। একের পর এক পজিটিভ আসছে। সম্ভব কারখানা বন্ধ করতে হবে।

চীনে করোনার বিরুদ্ধে কঠোর বিধি চলার সময় হঠাৎ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় আইন শিথিল করে সরকার। কিন্তু শিথিল করার পর করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে, সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এজন্য সব চাপ পড়ছে সরবরাহ লাইনে। কারণ কারখানার শ্রমিক ও ট্রাকচালকরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

বেইজিং-ভিত্তিক গবেষক চেন লং বলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল সেক্টরগুলো টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে। কারণ অনেক কর্মীই চীনা নববর্ষের ছুটি পেয়ে বাড়ি চলে গেছে। তবে করোনার কারণে তারা ফিরতে ভয় পাচ্ছে। এতে সেক্টরগুলো মারাত্মক সংকটে পড়েছে। তাদের উৎপাদন বন্ধ হওয়ার পথে।

কারখানার কর্মকতারা সাপ্লাই চেইন সমস্য মোকাবেলা করছেন। ইইউ চেম্বার অব কমার্সের ওয়াটকে বলেন, করোনা আক্রান্ত ট্রাক ড্রাইভারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কঠোর নীতি চলাকালীন ট্রাক চালকদের কঠোর শৃঙ্খলায় থাকতে হতো। নীতি শিথিল করার পর বহু ড্রাইভার এখন করোনা আক্রান্ত। এতে পণ্য সরবরাহ ব্যাপক কমে গেছে।