আমন ধান ও চাল সংগ্রহে ১৭ নির্দেশনা

চলতি মৌসুমে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ সফল করতে ১৭টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা জারি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

আমন ধান ও চাল সংগ্রহ

নির্দেশনাগুলো হলো-

> ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলায় সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভা সম্পন্ন করতে হবে। কৃষকের অ্যাপের বাইরে উপজেলায় লটারি করে ধান সংগ্রহ দ্রুত শুরু ও শেষ করতে হবে। 

> ‘অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা, ২০১৭’ এর নির্দেশ অনুসরণ করে ধান ও চাল সংগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

> ধান সংগ্রহের বার্তাটি মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্নভাবে বহুল প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

> চুক্তিযোগ্য যেসব মিল মালিক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করবেন না অথবা চুক্তি সম্পাদন করে কোনো চাল সরবরাহ করবেন না- এমন মিল মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

> ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে মিলা মালিকদের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরপরই মিলারদের অনুকূলে চুক্তি করা পরিমাণ চালের বরাদ্দপত্র ইস্যু করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুলিপি পাঠাতে হবে এবং স্ব স্ব জেলার ওয়েব পোর্টালে প্রকাশ করতে হবে।

> হাস্কিং মিলারদের ক্ষেত্রে চুক্তিকৃত চাল সটিং করে সংগ্রহ করতে হবে।

> ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৭০ শতাংশ, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ৯০ শতাংশ এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শতভাগ চাল সংগ্রহ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সিডিউল প্রস্তুত করতে হবে।

> সংগৃহীত সব চালের বস্তায় নির্দেশনা অনুযায়ী স্টেনসিল দিতে হবে।

> খাদ্য গুদামে কৃষকবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কৃষক যেন কোনোক্রমেই হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

> গুদামে স্থান সংকুলান না হলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, মহাপরিচালক (খাদ্য) স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে বিধি মোতাবেক স্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে চলাচল সূচি জারি করবেন।

> ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম যুগপৎভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

> খালি বস্তার স্বল্পতা দেখা দিলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত বস্তার স্বল্পতা নিরসন করতে হবে।

> জাতীয়ভাবে ১৭ নভেম্বর ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়েছে বিধায় স্থানীয়ভাবে পুনরায় কোনো আনুষ্ঠানিকতার অজুহাতে কোনোক্রমেই সংগ্রহ কার্যক্রম বিলম্বিত করা যাবে না।

> সংগ্রহ ত্বরান্বিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক সর্বদা সর্বোচ্চ তৎপর ও সতর্ক থাকবেন।

> সংগ্রহ কার্যক্রমে সর্বোচ্চ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণের মনিটরিং জোরদার করতে হবে।

> প্রতিদিন বিকেল ৫টার মধ্যে সব আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে ধান ও চাল সংগ্রহের তথ্য ই-মেইলে খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগে পাঠাতে হবে।

> অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ ২০২২-২৩ মৌসুম চলাকালীন সংগ্রহ কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে।