বিশ্বকাপের তাঁবু শরণার্থীদের দেবে কাতার

বিশ্বকাপে আগত দর্শক ও সমর্থকদের জন্য নির্মিত ফ্যান ভিলেজের তাঁবু শরণার্থীদের দেবে কাতার। সিরিয়া, তুরস্ক ও ইয়েমেনে অবস্থানরত শরণার্থী ও বাস্তচ্যুত মানুষদের জন্য এসব তাঁবু দান করা হবে। কাতারের সুপ্রিম কমিটি ফর ডেলিভারি অ্যান্ড লিগ্যাসি (এসসি) ও এডুকেশন এবাভ অল (ইএএ) ফাউন্ডেশন এ কথা জানিয়েছে।

বিশ্বকাপে ব্যবহৃত তাঁবু সিরিয়া, ইয়েমেন ও তুরস্কে শরণার্থীদের জন্য দান করবে কাতার

জানা গেছে, ফ্যান ভিলেজে অবস্থানরতদের জন্য এক হাজারের বেশি বেদুইন তাঁবু ব্যবহার করেছে কাতার। পাশাপাশি আল বিদ্দা পার্কে ফ্যান ফেস্টিভেলে অতিথিদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল ২৭টি বিশেষায়িত তাঁবু। বিশ্বখ্যাত স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান জাহা হাদীদ আর্কিটেকচার বিশেষায়িত তাঁবুগুলোর নকশা করেছিল।

বিশ্বকাপ উপলক্ষে টেকসই নির্মাণ ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এগিয়ে নিতে স্কোরিং ফর দ্য গোলস কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল আল বিদ্দা পার্কের একটি বিশেষায়িত তাঁবুতে। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস প্যাভিলিয়ন নামের ওই তাঁবুতে দেওয়া বক্তৃতায় ইএএ চেয়ারপারসন শেইখা মোজা বিনতে নাসের বলেছেন, এই তাঁবু এখন খুলে ফেলা হবে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো দেশে বাস্তচ্যুত শিশুদের ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহারের জন্য পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বকাপে ব্যবহৃত অন্যান্য তাঁবু সিরিয়া ও ইয়েমেনে পাঠানো হবে। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইএমও) ও কাতার রেড ক্রিসেন্টের সমন্বয়ের ভিত্তিতে ২৭টি বিশেষায়িত তাঁবু ব্যবহৃত হবে ক্লাসরুম, ক্লিনিক ও জরুরি আশ্রয় হিসেবে। টেকসই, সব ধরনের আবহাওয়ায় ঘাতসই এবং যে কোনো সময় খুলে ফেলার ও অন্যত্র স্থানান্তরের উপযোগী এসব তাঁবু বাইরের প্রাকৃতিক আলোতেই আলোকিত থাকে। তাঁবুগুলোর বিভিন্ন অংশ খুলে অন্য কাজেও ব্যবহার করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দলের মতো এসডিজি লক্ষ্যগুলো কিন্তু পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। বরং একেকটি লক্ষ্য অন্যটির পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। আমরা যদি একটি পানির বোতল বারবার ব্যবহারের মতো প্রতিটি কাজে টেকসই ভাবনাকে অগ্রাধিকার দিই, তাহলে এই পৃথিবীর ভবিষ্যত নিশ্চিত হবে।

স্কোরিং ফর দ্য গোলসের সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্রোয়েশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট কলিন্ডা গ্রেবার-কিতারোভিচ, জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব আমিনা জে মোহাম্মদ ও খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মুখ্য বিজ্ঞানী ইসামাহানি এলওয়াফি।