২০২২ সালে ইসরায়েলের হাতে সবচেয়ে বেশি ফিলিস্তিনি নিহত

ফিলিস্তিনি মুুসলিমদের ওপর বছরের পর বছর নির্মম হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের নির্মম আচরণে ২০২২ সাল ফিলিস্তিনিদের জন্য ছিল দুঃস্বপ্নময়। বছরজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে ১৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। পাল্টা প্রতিরোধের মুখে প্রাণ যায় ২০ ইসরায়েলিরও। ক্রমবর্ধমান ইসরায়েলি আগ্রাসন ও হত্যাকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের টর ওয়েনেসল্যান্ড। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর।

পশ্চিম তীরের নাবলুসে আসকার ক্যাম্প

ওয়েনেসল্যান্ড বলেন, ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিক হত্যাকাণ্ড ব্যাপক বেড়েছে। উভয়পক্ষকে তিনি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সংঘাত অব্যাহত থাকলে অবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টাকে দুর্বল করে দেয়। সহিংসতা বন্ধ করে অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

জাতিসংঘের কর্মকর্তা বলেন, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এটি জাতিসংঘের রেজুলেশন ও আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। পশ্চিম তীরের সি ব্লকে এই বছর ইসরায়েল ৪৮০০ বসতি তুলেছে। আবাসন ইউনিট আগের তুলনায় এখন তিনগুণের বেশি। ২০২১ সালে ছিল মাত্র ৯০০ ইউনিট, আর এ বছর তা বেড়ে ৩১০০ ইউনিট হয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের মালিকানাধীন সম্পত্তি ধ্বংসের পাশাপাশি বসতি স্থাপনের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। ওয়েনেসল্যান্ড ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত যাতে আরও খারাপের দিকে না যায় সেজন্য আঞ্চলিক দেশ ও বিশ্বনেতাদের প্রতি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন।

১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আগে ১৯৩৩ সালে ইহুদি এজেন্সি ও নাৎসিরা একটি চুক্তি করে। এই চুক্তির অধীনে ৫০ হাজার ইহুদিকে ফিলিস্তিনে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পরে ১৯৩৮ সালের মধ্যে ফিলিস্তিনে ২ লাখ ৫০ হাজার ইহুদি পরিকল্পনা মোতাবেক আনা হয়।

এসব অভিবাসী ইহুদিদের মধ্যে ছিল পেশাদার, চিকিৎসক, আইনজবিী এবং অধ্যাপক। তারা তেলআবিবকে বিশ্বের একমাত্র শহর হিসেবে গড়ে তোলে, যেখানে ইহুদিরা নিরাপদে বাস করতে পারে। পরে ব্রিটিশ সরকার বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে।