ইরাকে স্থিতিশীলতা চান মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপীয় নেতারা

ইরাকে শান্তি-স্থিতিশীলতা ফেরাতে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপীয় নেতারা একমত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার জর্দানে দুই অঞ্চলের নেতারা এক সম্মেলনে মিলিত হন। এই সম্মেলনে ইরানে নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন নেতারা। সম্মেলনটি মূলত গতবছর অনুষ্ঠিত হওয়া বাগদাদ সম্মেলনের ফলোআপ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ইরাকে স্থিতিশীলতা চান মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপীয় নেতারা

সম্মেলনে ইরাক ও ইরানের সাথে যোগ দেয় তুরস্ক, ফ্রান্স, মিশর, কুয়েত, বাহরাইন, ওমান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। এর মূল লক্ষ্য অরক্ষিত ইরাকের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং পুনর্গঠন প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করা। তাছাড়া ইরাকে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং স্বচ্ছ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া যাতে অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে তারা আলোকপাত করেন।

জর্দানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ বলেন, সম্মেলনটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যখন এই অঞ্চলটি নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক সংকটের হুমকির মুখে। তাছাড়া এ অঞ্চলে এখন খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্য এবং জ্বালানি সুরক্ষার অভাব প্রকট আকার নিয়েছে।

আরব লীগের প্রধান আবদেল আবুল গীত বাগদাদকে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে দূরে রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইরাকের মাটি সংঘাত কিংবা সন্ত্রাসবাদে ব্যবহার হওয়া উচিত নয়। কয়েক দশক ধরে দেশটি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সংঘাতে জর্জরিত হয়ে পড়েছে।

খবরে বলা হয়, ইরাকে ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসন আইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সৃষ্টি করে। এই সময়ে ইরান সমর্থিত রাজনৈতিক দল ও মিলিশিয়ারা ক্ষমতা পায় দেশটিতে। এতে বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকে তীব্র সহিংসতা এবং সাম্প্রদায়িক সংঘাত-সংঘর্ষ।

অতি সম্প্রতি ইরাক রাজনৈতিক জটিলতায় পঙ্গু হয়ে গেছে। নির্বাচনের পরও প্রায় দুই বছর কোনও নির্দিষ্ট সরকার ছিল না দেশটিতে। এতে ইরানপন্থী শিয়া মিলিশিয়া ও দেশটির রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে বড় বিভাজন দেখা দেয়। অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় পার্লামেন্টে।

তবে সবশেষে একটি সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু এই সরকার শিয়া নেতা মোকতাদা আল সদরের রোষানলে রয়েছে। যেকোনো সময় রাজনৈতিক সংঘাত মাথাচাড়া দিতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।