বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গের দিনে মিরাজের ফাইফার

চতুর্থ দিনের শুরুটা ভালো হওয়ায় ভারতের বিপক্ষে জয়ের দারুণ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের সামনে। দলীয় ৭৪ রানে আকসার প্যাটেলের উইকেট হারানোর সময় ভারতের দরকার ছিল আরও ৭১ রান। সফরকারীরা সে কঠিন কাজকে সহজ করে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও শ্রেয়াশ আইয়ারের ব্যাটে চড়ে। নাটকীয়তায় ভরপুর ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় জায়ান্টরা।

লিটনের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করছেন মিরাজ

ভারতের কাছে শেষদিকে এসে স্বপ্নভঙ্গ হলেও দিনটা দারুণ পার করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে আরও একবার পেয়েছেন ফাইফারের (৫ উইকেট বা তার বেশি) দেখা। ইনিংসের ৩০তম ওভারের তৃতীয় বলে প্যাটেলকে বোল্ড করে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন খুলনার এই স্পিনিং অলরাউন্ডার।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে ৪৫ রানে চার উইকেট হারায় ভারত। এর মধ্যে তিনটাই নেন মিরাজ। তাতেই আরও একবার ফাইফারের পথে এগিয়ে ছিলেন। এই স্পিনারের বলে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসান সোহানের হাতে ধরা পড়েন চেতেশ্বর পুজারা। এরপর শুভমান গিল ও বিরাট কোহলির উইকেটও পকেটে পুরেন মিরাজ। চতুর্থ দিনে প্যাটেল ছাড়াও পন্তকে প্যাভিলিয়নে ফেরান মিরাজ। ভারতের বিপক্ষে মিরাজের বোলিং ফিগারটি ছিল এমন ১৯-৪-৬৩-৫।

এ নিয়ে ৩৭তম টেস্টে এসে নবমবারের মতো ফাইফারের দেখা পেলেন মিরাজ। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই ফরম্যাটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেন। অভিষেকে প্রথম ইনিংসেই শিকার করেন ৬ উইকেট। পরের টেস্টে দুই ইনিংসে ছয়টি করে উইকেট নেন মিরাজ। প্রথমবারের মতো ইংলিশদের বিপক্ষে লম্বা দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। অনুমিতভাবেই ম্যাচের পাশাপাশি সিরিজ সেরার পুরস্কারও জেতেন ২৫ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ক্রিকেটার।