ড্রোন ঠেকাতে গিয়ে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমান

নিজেদের আকাশসীমায় উত্তর কোরিয়ার ড্রোনের অনুপ্রবেশ রুখতে এক ঝাঁক যুদ্ধবিমান ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার পাঠিয়ে গুলি ছুড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী। এ সময় একটি যুদ্ধবিমান উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হোংসং কাউন্টিতে বিধ্বস্ত হয়েছে। খবর রয়টার্স, ইয়োনহাপ।

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কেএ-১ লাইট অ্যাটাক এয়ারক্রাফট অলটিচিউড হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়

দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪৩ মিনিটে একটি কেএ-১ লাইট অ্যাটাক এয়ারক্রাফট সিউল থেকে ১৪০ কিলোমিটার পূর্বে হোংসং কাউন্টিতে ভূপতিত হয়েছে। নিকটবর্তী ওনজু শহরের বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর এটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানের দুই পাইলট নিরাপদে অবতরণ করতে সমর্থ হয়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, ওনজু থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর যুদ্ধবিমানটি অলটিচিউড হারিয়ে ফেলে এবং মাটিতে পড়ে যায়। এ ঘটনায় বেসামরিক কোনো বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী জানায়, উত্তর কোরিয়ার কয়েকটি সন্দেহভাজন ড্রোন আজ সকালে অনুমতি ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমার কাছে আনাগোনা করেছে। কমপক্ষে একটি ড্রোন ঘনবসতিপূর্ণ ঝংগি প্রদেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে। ২০১৭ সালের পর দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় উত্তর কোরিয়ার আকাশযানের অনুপ্রবেশের এটা প্রথম ঘটনা।

দক্ষিণ কোরিয়া জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার কয়েকটি মনুষ্যবিহীন আকাশযান আন্তঃকোরিয়া সীমান্ত অতিক্রম করেছে। ড্রোনের অনুপ্রবেশ রোধ করতে যুদ্ধবিমান ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার ওড়ানো হয়েছে এবং সতর্কতামূলক গুলি ছোড়া হয়েছে। প্রয়োজনে ড্রোন ভূপাতিত করতে অন্যান্য অ্যাসেটও মোতায়েন করা হয়েছে।

পৃথক খবরে ইয়োনহাপ জানিয়েছে, গিম্পো ও ইনচন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার কিছু ড্রোন দুই দেশের সামরিক বিভাজন রেখা বরাবর উড়তে দেখা গেছে। গিম্পো, গাংওয়া ও পাজু এলাকায় ড্রোন নজরে এসেছে। এ কারণে বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।