ঋণ জালিয়াতি: ভিডিওকনের মালিক গ্রেপ্তার

ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ভিডিওকন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ভেনুগোপাল ধূতকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের তদন্ত সংস্থা সিবিআই। আইসিআইসিআই ব্যাংকের সাবেক এমডি ও সিইও চান্দা কোচার ও তার স্বামী দীপক কোচারকে গ্রেপ্তারকে দুইদিনের মাথায় ভেনুগোপালকে গ্রেপ্তার করা হলো। তাদেরকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। খবর ইন্ডিয়া টুডে।

ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে দীপক কোচার, ভেনুগোপাল ধূত ও চান্দা কোচারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে

সিবিআই অভিযোগ করেছে, ২০০৯-২০১৮ পর্যন্ত সময়কালে চান্দা কোচার আইসিআইসিআই ব্যাংকের এমডি ও সিইও থাকাবস্থায় ভিডিওকন গ্রুপের কোম্পানিগুলোকে ৩,২৫০ কোটি রুপি ঋণ দেওয়া হয়। ব্যাংকিং রেগুলেটরি অ্যাক্ট, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান আরবিআইয়ের নির্দেশনা ও আইসিআইসিআই ব্যাংকের ক্রেডিট পলিসি লঙ্ঘন করে এসব ঋণ দেওয়া হয়।

এ সংক্রান্ত এফআইআরে বলা হয়েছে, অন্যায়ভাবে ঋণ সুবিধা গ্রহণের বিনিময় হিসেবে ভিডিওকনের চেয়ারম্যান ভেনুগোপাল ধূত তার কোম্পানি সুপ্রিম এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেডের (এসইপিএল) মাধ্যমে নুপাওয়ার রিনিউয়েবলসে (এনআরএল) ৬৪ কোটি রুপি বিনিয়োগ করেন। এরপর তিনি ২০১০-২০১২ সময়ে নানা হাতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এসইপিএলকে পিনাকল এনার্জি ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করেন। চান্দা কোচারের স্বামী দীপক কোচার পিনাকল এনার্জি ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন।

এফআইআরে ভেনুগোপাল ধূত, চান্দা কোচার ও দীপক কোচারের পাশাপাশি অভিযুক্ত হিসেবে এনআরএল, এসইপিএল, ভিডিওকন ইন্টারন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ও ভিডিওকন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামোল্লেখ করা হয়েছে।

সিবিআই বলেছে, ভিডিওকনকে দেওয়া আইসিআইসিআই ব্যাংকের ঋণের মধ্যে ১,৮৭৫ কোটি রুপি ঋণ ২০১৭ সালে অলাভজনক সম্পদে (এনপিএ) পরিণত হয়। এতে ব্যাংকটি লোকসানের শিকার হয়।

ভারতের করপোরেট জগতে বেশ পরিচিত ব্যক্তিত্বদের একজন চান্দা কোচার। ২০১৮ সালে ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর তিনি আইসিআইসিআই ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদ ছাড়েন। ২০১৯ সালে আইসিআইসিআই জানায়, ব্যাংকের শীর্ষ পদ থেকে চান্দা কোচারের বিদায়কে ‘বিশেষ কারণে বরখাস্ত’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

ভেনুগোপাল ধূতকে আজ দুপুরে মুম্বাই থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে শনিবার চান্দা কোচার ও দীপক কোচারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনজনকেই আজ বিকেলে আদালতে হাজির করে তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করে সিবিআই। বিচারক রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।