কসোভোর ওপর 'প্রভাব খাটাচ্ছে' রাশিয়ান মিত্র সার্বিয়া

বলকান রাষ্ট্র কসোভোকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে সার্বিয়া। এই অভিযোগ দিয়েছেন কসোভোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেলাল সেভেচলা। তিনি বলেন, কসোভোর ওপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়ার সমর্থক সার্বিয়া। তারা কসোভোকে অস্থিতিশীল করতে চায়। উত্তর কসোভোর মিত্রোভিকা শহরে তিন সপ্তাহ ধরে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে সার্বরা। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

কসোভোর ওপর প্রভাব খাটাচ্ছে রাশিয়ান মিত্র সার্বিয়া

মঙ্গলবার সকালে নতুন করে মিত্রোভিকা শহরের সার্ব-সংখ্যাগরিষ্ট অংশকে আলবেনিয়ান-সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের সাথে সংযোগকারী সড়ক ব্লক করে দেয় সার্বরা। শহরটি জাতিগতভাবে বিভক্ত। বেলডেগ্র ও প্রিস্টিনার মধ্যে কয়েক সপ্তাহ উত্তেজনা সৃষ্টির পর সার্বিয়া তার সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে।

প্রায় ৫০ হাজার জাতিগত সার্ব কসোভোর উত্তর অংশে বাস করে। তারা কসোভো সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে এবং সার্বিয়ার কথামতো চলে। তারা বেলগ্রেডকে রাজধানী হিসেবে মনে করে। তারাই কসোভোর অভ্যন্তরে বছরের পর বছর অশান্তি সৃষ্টি করে আসছে এবং কসোভোর প্রশাসনকে তারা তোয়াক্কা করে না।

সেভেচলা এক বিবৃতিতে বলেন, রাশিয়ার সমর্থক সার্বিয়া সামরিক প্রস্তুতির হুমকি দিচ্ছে। কসোভোর বিরুদ্ধে সার্বিয়া সড়ক অবরোধকারীদের ইন্ধন যোগাচ্ছে। তবে কসোভোর অভিযোগ অস্বীকার করে সার্বিয়া জানিয়েছে, কসোভোয় সংখ্যালঘু সার্বদের রক্ষা করতে চায় বেলগ্রেড।

সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকসান্ডার ভুসিক মঙ্গলবার বলেন, সার্বিয়া শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে এবং সংকট সমাধানে প্রচেষ্টা চালাবে। এর আগে সোমবার বেলগ্রেড জানায়, কসোভো সার্বদের ওপর আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এজন্য আমরা সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছি।

গত ১০ ডিসেম্বর থেকে উত্তর কসোভোর জাতিগত সার্ব জনগোষ্ঠী মিত্রোভিকা ও এর আশপাশে একাধিক রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে। পুলিশ অফিসারদের ওপর হামলার অভিযোগে সাবেক একজন সার্ব পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কসোভো প্রশাসন। এর পর পুলিশের সাথে সার্বদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

আলবেনিয়ান সংখ্যাগরিষ্ঠ কসোভো ২০০৮ সালে পশ্চিমের সমর্থনে সার্বিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ১৯৯৮-৯৯ সালের যুদ্ধের পরে ন্যাটো সামরিক জোট আলবেনিয়ান নাগরিকদের রক্ষায় হস্তক্ষেপ করেছিল। পাঁচটি ইইউ রাষ্ট্র স্পেন, গ্রিস, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া এবং সাইপ্রাস কসোভোকে স্বীকৃতি দেয়নি।