এড়িয়ে চলুন কোমল পানীয়

কোমল পানীয় খেতে কে না পছন্দ করে। ভরপেট খাওয়া দাওয়ার পর এক বোতল ঠাণ্ডা কোমল পানীয় পেলে অন্তরটাই যেনো জুড়িয়ে যায়। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রতি ১০ জন মানুষের ৮ জনই কোমল পানীয় খেতে পছন্দ করে। এত নিয়মিত যার খাওয়া সেটা কি আসলেই মানব দেহের জন্য উপকারী?

কোমল পানীয়তে আছে প্রচুর পরিমানে ক্যাফেইন, ফসফরিক এসিড, সুগার, অ্যালুমিনিয়াম কার্বন ডাই অক্সাইড ইত্যাদি। যার একটিও মানব শরীরের জন্য উপকারী নয়। প্রতেকটি উপাদানই দেহের দারুণ ক্ষতিসাধন করে।

কোমল পানীয়তে আছে কোলেস্টরেল। যা শরীরে মেদ বাড়াতে সাহায্য করে। সুতরাং যারা ডায়েট করতে চাইছেন, তাদের জন্য কোমল পানীয় না খাওয়াই উত্তম।

মানব দেহের হাড়ের ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য দুধ, ডিম, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি এবং ক্যালশিয়ামের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু কোমল পানীয় বেশি বেশি পান করলে হাড়ের ঘনত্ব কমে আসে এবং হাড় দুর্বল হয়ে যায়।

যারা গ্যাস্ট্রিকের অসুবিধায় ভুগছেন তাদের জন্য কোমল পানীয় খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। কারণ কোমল পানীয় অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে দেয়।

কোমল পানীয় অতিরিক্ত খেলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে দাঁত ক্ষয় হয়ে যায়। এবং ক্যাবিজের ঝুঁকিও বাড়ে।

কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম কারণ বেশি বেশি কোমল পানীয় পান করা।

যারা বার্ধক্যকে জয় করতে চান তাদের কোমল পানীয় থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ কোমল পানীয় চামড়ায় ভাঁজের সৃষ্টি করে। ফলে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ আসে তাড়াতাড়ি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

হাতের তালু ঘামলে করণীয়

গরমে আপনার শিশুর যত্নআত্তি

ঋতু পরিবর্তনে জ্বর