নতুন বছরের শুরুতে আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলিদের হানা

২০২৩ সালের প্রথম দিনেই কট্টরপন্থী ইসরায়েলিরা অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে আবারও হানা দিয়েছে। নতুন বছরের শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরে রোববার এই ঘটনা ঘটেছে। এটিকে উসকানি হিসেবে দেখছেন ফিলিস্তিনিরা।

নতুন বছরের শুরুতে আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলিদের হানা

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, কয়েক ডজন চরমপন্থী ইসরায়েলি মুগরাবি গেট দিয়ে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানটিতে প্রবেশ করে। এ সময় ইসরায়েলি পুলিশ তাদের সাথে ছিল।

কট্টরপন্থী ইহুদিরা আল-আকসার দীর্ঘস্থায়ী স্থিতাবস্থা চুক্তি লঙ্ঘন করে মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রার্থনা করেছিল। এই চুক্তি অনুযায়ী অমুসলিমদের সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, তবে সেখানে প্রার্থনা করা যায় না।

অনেক ইসরায়েলি চরমপন্থী আল আকসাকে একটি ইহুদি মন্দিরে পরিণত করতে চায়। তারা এটিকে টেম্পল মাউন্ট নামে অভিহিত করে। এটিই তাদের ধর্মে সবচেয়ে পবিত্র স্থান। ফিলিস্তিনি ও বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা ইহুদিদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছেন।

এদিকে ইসরায়েল নিয়মিতভাবে ইহুদি কট্টরপন্থীদের ফিলিস্তিনের সবচেয়ে পবিত্র ইসলামিক স্থান আল আকসায় হানা দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। 

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ইসরায়েলের নতুন উগ্র ডানপন্থী সরকার ২৯ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণের পর উত্তেজনা বর্তমানে স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি। যদিও জোট সরকারের নীতিমালায় পবিত্র স্থানগুলোপরিচালনা করার নিয়ম একই থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে চরমপন্থী ইসরায়েলি রাজনীতিবিদরা আল আকসা প্রাঙ্গণে ইহুদিদের প্রার্থনার অনুমতি দেওয়ার জন্য স্থিতাবস্থায় পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন।

রোববার ‘টেম্পল মাউন্ট ফেইথফুল’ আন্দোলনের সাথে যুক্ত মৌলবাদী দলগুলি চরম ডানপন্থী ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভিরকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। তারা আল আকসায় ইহুদি চরমপন্থীদের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি এবং এর ভিত্তিতে একটি উপাসনালয় নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছে। বেন গভির ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক বক্তব্যের জন্য পরিচিত।  

উল্লেখ্য, ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে। ১৯৮০ সালে এটিকে বেআইনিভাবে সংযুক্ত করে নেয়। কিন্তু ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দ্বারা স্বীকৃত হয়নি। ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখে থাকে।

সূত্র: দ্য নিউ আরব