উপনির্বাচন: তিন আসনে আ.লীগের প্রার্থী ঘোষণা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উন্মুক্ত

আগামী ১ ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচন জমিয়ে তুলতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে প্রার্থী দেয়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপির পদত্যাগে শূন্য হওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে তিনটিতে প্রার্থী দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। তবে দুটি আসন ছাড় দিয়েছে জোটের শরীকদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আজ রোববার (১ জানুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে তিন আসনে দলীয় প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৈঠক শেষে গণভবনের গেটে সাংবাদিকদের কাছে সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের জানান, উপনির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে জিয়াউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আবদুল ওদুদ এবং বগুড়া-৬ আসনে রাগেবুল আহসান রিপু নৌকা প্রতীকে লড়াই করবেন।

তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ১৪ দলের দুই শরীক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলকে (জাসদ) বগুড়া-৪ আসন এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিকে ঠাকুরগাঁও-৩ ছাড় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন উন্মুক্ত রাখা হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগে থেকেই ওয়ার্কার্স পার্টি ঠাকুরগাঁও-৩ এবং জাসদ বগুড়া-৪ আসন নিজেদের জন্য চেয়ে আসছিল।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে জোটের প্রার্থী হিসেবে ওয়ার্কার্স পার্টির অধ্যাপক ইয়াসির আলী ঠাকুরগাঁও-৩ এবং জাসদের প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেন বগুড়া-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিএনপির প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপি দলীয় এমপি ছিলেন উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে অন্য পাঁচ এমপির সঙ্গে পদত্যাগ করেন তিনি।

তবে উপনির্বাচনে নিজেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন আব্দুস সাত্তার। এরইমধ্যে মনোনয়নপত্রও কিনেছেন তিনি।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেই এরই মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আব্দুস সাত্তার। তার এই পদত্যাগে আব্দুস সাত্তার ওই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে জল্পনাও ছড়িয়ে পড়েছিল।

শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন না দিলেও উপনির্বাচনকে জমজমাট করতে আওয়ামী লীগ আসনটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এ কারণেই আসনটি সব দলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে- এমনটাই জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকরা।