ডিসেম্বরে রেকর্ড রপ্তানি আয়

বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও বছরের শুরুতেই রফতানি আয়ে সুখবর পেল বাংলাদেশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ২ হাজার ৭৩১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গতবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। সেই সঙ্গে ডিসেম্বর মাসে রফতানি আয়ে রেকর্ড গড়েছে ঢাকা।

পোশাক কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকরা

২ জানুয়ারি, সোমবার এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এতে দেখা গেছে, সদ্য বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে ৫৩৬ কোটি ৫১ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা ওই বছরের ১২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ২ হাজার ২৯৯ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরের মধ্যে ওভেন পোশাক রপ্তানীতে ১৮ শতাংশ এবং নিট পোশাকে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

একই সময়ে ওভেন পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার এবং নিট পোশাক রপ্তানি হয় ১ হাজার ২৬৫ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ৬৩ কোটি ডলার, হোম টেক্সটাইলে ৬০ কোটি, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য ৫০ কোটি এবং ৪৮ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এসবের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

উল্লেখ্য, পণ্য রপ্তানিতে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরুটা ছিল ঊর্ধ্বমুখি। প্রথম দুই মাসে পণ্য রপ্তানি হয় ৮৫৯ কোটি ডলারের। সেই হিসাবে প্রবৃদ্ধি ছিল ২৫ শতাংশ। তবে বৈশ্বিক পরিস্থিতির মুখে সেপ্টেম্বরে রপ্তানি কমেছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। অক্টোবরে কমেছিল ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। অবশ্য নভেম্বরে রপ্তানি ফের ঘুরে দাঁড়ায়। সেই মাসে ৫০৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। প্রবৃদ্ধি হয় ২৬ শতাংশ। যা ছিল ২০২২ সালের প্রথম ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া চলতি অর্থবছরে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।

এদিকে বিদায়ী বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসেবে)।