চার বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন ভর্তি বন্ধের নির্দেশ ইউজিসির

স্থায়ী ক্যাম্পাস ইস্যুতে কোনোরকম পদক্ষেপ না নেওয়ায় দেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আজ সোমবার (২ জানুয়ারি) চিঠি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয় চারটি হচ্ছে, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, আশা ইউনিভার্সিটি ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি।

স্থায়ী ক্যাম্পাস ইস্যুতে ইউজিসির নির্দেশ মানেনি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়

ইউজিসির চিঠিতে বলা হয়েছে, স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনে আলটিমেটাম সত্ত্বেও কোনো অগ্রগতিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আগে থেকে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান, পরীক্ষাসহ সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকবে। নতুন করে আর শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না তারা।

ছয় বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে তিন মাস সময়: আগামী তিন মাসের মধ্যে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি, মিলেনিয়াম, সাউথইস্ট ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়কে  তাদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ছয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ছয় মাসের মধ্যে স্থানান্তর হতে হবে: নতুন করে সময় দেওয়া হয়েছে ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, গ্রিন ইউনির্ভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা), প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ও পিপলস ইউনিভার্সিটিকে এ সময় দেওয়া হয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে ছয় মাসের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে সময় দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী অনুমোদন পাওয়ার ১২ বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে হবে। আইন অমান্য করা ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়কে সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে সময়ের মধ্যে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন বা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছর নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যদি তারা আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়, সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে ভর্তি বন্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।