আপনি পড়ছেন

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা রাজ্যের হ্যামলাইন ইউনিভার্সিটির একজন শিক্ষককে ক্লাসে মহানবী হযরত মুহাম্মদের (স.) তথাকথিত ছবি দেখানোর জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। ব্রিটিশ নিউজ ওয়েবসাইট ফাইভপিলারস ৪ জানুয়ারি, বুধবার এই খবর প্রকাশ করেছে।

hamline universityহ্যামলাইন ইউনিভার্সিটি

এই ঘটনাটি গত বছরের অক্টোবরে ঘটেছে বলে জানা গেছে। মিনেসোটার সেন্ট পল শহরের হ্যামলাইন ইউনিভার্সিটির একজন শিক্ষক অনলাইনে গ্লোবাল আর্টস হিস্ট্রি ক্লাসে মধ্যযুগে আঁকা মহানবীর (স.) তথাকথিত ছবি প্রদর্শন করেছিলেন।

শিক্ষকের নাম প্রকাশ না করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তিনি চতুর্দশ এবং ষোড়শ শতাব্দীর দুটি ছবি শিক্ষার্থীদের দেখিয়েছিলেন যাতে মহানবীকে (স.) চিত্রিত করা হয়েছে।

চতুর্দশ শতাব্দীতে ছবিটি এঁকেছিলেন রশিদ আল-দীন। এটি ছিল মহানবীর (স.) হযরত জিব্রাইলের (আ.) কাছ থেকে প্রথম ওহী পাওয়ার ছবি। দ্বিতীয় ছবিতে মুখ ঢেকে রাখা মহানবীর ছবি আঁকা হয়েছে। তার চারপাশে ছিল আলোর বৃত্ত। এটি এঁকেছেন মুস্তাফা ইবনে ভালি।

হ্যামলাইন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের নিউজ ওয়েবসাইট 'দ্য ওরাকল' এর খবরে বলা হয়েছে, ক্লাস শুরুর আগে ওই শিক্ষক ক্লাসের বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি মৌখিক এবং লিখিত সতর্কতা জারি করেছিলেন। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা ছবিগুলো দেখতে অস্বস্তি বোধ করেছিল তাদের ক্লাসরুম ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর ছবি আঁকা ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ।

পরবর্তীকালে মুসলিম স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (এমএসএ) প্রেসিডেন্ট আরাম ওয়েদাতাল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন যে উক্ত শিক্ষকের কাজ মুসলমান শিক্ষার্থীদের কাছে ‘অসম্মানজনক এবং আপত্তিকর’ ছিল।      

এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকের চুক্তি আর নবায়ন করেনি। তার কর্মকাণ্ডকে অবিবেচনাপূর্ণ, অসম্মানজনক এবং ইসলামবিদ্বেষী বলে অভিহিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অবশ্য ওই অধ্যাপক এমএসএ এর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের অসম্মান করার কোনো উদ্দেশ্য তার ছিল না।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষাবিদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। এমনকি অধ্যাপকের চুক্তি পুনর্বহাল করার আহ্বান জানিয়ে পিটিশনও দায়ের করেছেন।

তবে হ্যামলাইন ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ফেইনিজ মিলার বলেছেন, একাডেমিক স্বাধীনতার চেয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীদের অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখানো উচিত ছিল ওই শিক্ষকের।

সূত্র: দ্য নিউ আরব

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.