'সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ইসিকে সহযোগিতা করবে সরকার'

দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিশনকে (ইসি) প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

৬ জানুয়ারি, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বর্তমান সরকারের চার বছরপূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভাষণের শুরুতে দেশবাসী এবং প্রবাসীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান সরকার প্রধান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার লক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত কোন অপপ্রচারকে প্রশ্রয় বা উস্কানি না দেয়ার জন্য গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মানুষের অধিকার কেউ যাতে কেড়ে নিতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

আগামী নির্বাচন চলতি বছরের শেষে বা পরের বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, স্বাধীনতা বিরোধী, ক্ষমতালোভী, জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। তাদের লক্ষ্য ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পিছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করা। কাজেই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য বাংলাদেশে এই প্রথম একটি আইন পাশ হয়েছে। সেই আইনের আওতায় সার্চ কমিটি করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনকে আর্থিক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও স্বাধীনভাবে কাজ করবে কমিশন। সরকার সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে।

সরকার প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল, জনগণের শান্তিতে বিশ্বাসী। জনগণ ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে আওয়ামী লীগ দেশ গড়ার দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে। যদি বিজয়ী না করে, তাহলে জনগণের কাতারে চলে যাব। তবে, যেখানেই থাকি, আমরা জনগণের সেবা করে যাব।

জনগণকে সতর্ক করে শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্র করে কেউ যাতে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে, সেদিকে সকলের সজাগ থাকতে হবে। কেউ যাতে আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করে মানুষের জানমালের এবং জীবিকার ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৪ বছরে বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়েছে। আজ আর কেউ বাংলাদেশকে বন্যা, খরা, দুর্যোগের দেশ হিসেবে দেখে না। এখন উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশকে। উন্নয়নের রোল মডেল।

ভাসনের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রূপকল্প-২০৪১ লক্ষ্য হচ্ছে, '৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বে মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত করা। বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০-এর লক্ষ্য হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে একটি টেকসই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে হিসেবে টিকিয়ে রাখা।