মসজিদের দান বাক্সে ২০ বস্তা টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্সে এবার ২০ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ। ৭ জানুয়ারি, শনিবার সকাল ৯টার দিকে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী।

পাগলা মসজিদে এবার ২০ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

জানা গেছে, প্রতি তিন মাস পরপর মসজিদের এই আটটি দানবাক্স খোলা হয়। এবার ৩ মাস ৬ দিন পর দানবাক্সগুলো থেকে রেকর্ড ২০ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।

টাকা গণনায় উপস্থিত আছেন সিনিয়র সহাকরী কমিশনার অহনা জিন্নাত, শেখ জাবের আহমেদ, সুলতানা রাজিয়া, সহকারী কমিশনার মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, মো. মাহমুদুল হাসান, রওশন কবীর, মসজিদের ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদের মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সর্বশেষ দানবাক্স খোলা হয়েছিল ২০২২ সালের ১ অক্টোবর। তখন রেকর্ড ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকাসহ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল।

বর্তমানে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে অন্যতম পাগলা মসজিদ। নরসুন্দা নদীর তীরে ১০ শতাংশ জমির ওপর মসজিদটি তৈরি হয়, তবে মসজিদ কমপ্লেক্সটির জন্য ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গা রয়েছে।

দানবাক্সে পাওয়া টাকা প্রথমে বস্তাবন্দী করা হয়। পরে সবার সামনে সেগুলো গণনা হয়

পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানিয়েছে, পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। ৬০ হাজার মুসল্লি সেখানে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

মসজিদের ইমাম মুফতি  খলিলুর রহমান বলেন, পাগলা মসজিদের দান বাক্সে পাওয়া টাকা আগে বিভিন্ন অনুদানে খরচ করা হলেও এবার তা হচ্ছে না। মসজিদ কমপ্লেক্স ও গবেষণার কাজে ব্যবহার করার জন্য টাকা জমানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এ মসজিদে মানুষ আসে। তারাই মূলত এখানে দান করে থাকেন।