হিরো আলম এখন কোটিপতি

হিরো আলম এখন কোটিপতি। চড়ছেন দামী গাড়িতে। জায়গা-জমি কিনে বানিয়েছেন বিশাল বাড়ি। ব্যাংকে নগদ জমার পাশাপাশি রয়েছে ৫৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। আর স্ত্রীর স্বর্ণালংকার হয়েছে ১০ ভরি। এসব সম্পত্তি গড়েছেন মাত্র চার বছরে।

চার বছর আগে তেমন কিছুই ছিল না হিরো আলমের

বগুড়ায় আসন্ন উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে গিয়ে হলফনামায় যে সম্পদ বিবরণী দিয়েছেন, তাতেই মিলেছে এসব তথ্য। এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে যে সম্পদ বিবরণী দিয়েছিলেন, তার তুলনায় হিরো আলম এখন কোটিপতি।

এবার বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) এবং  বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। যদিও এরইমধ্যে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।

বগুড়ায় আসন্ন উপনির্বাচনে মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেছে হিরো আলমের

আসন্ন উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া হলফনামায় হিরো আলমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হিরো আলম ৯ শতক জমি কিনে বাড়ি বানিয়েছেন। কিনেছেন কৃষিজমিও। তার বর্তমানে মোট কৃষিজমির পরিমাণ ৫০ শতাংশ। তার ব্যাংকে ৩০ হাজার টাকা জমা আছে। তার স্ত্রীর চার বছর আগে ১ ভরি স্বর্ণালংকার থাকলেও এখন রয়েছে ১০ ভরি। পারিবারিক সঞ্চয়পত্র আছে ৫৫ লাখ টাকার।

অথচ চার বছর আগে হিরো আলমের সম্পদ বলতে তেমন কিছুই ছিল না। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন হিরো আলম।

সে সময় ব্যাংক হিসাবে হিরো আলমের মাত্র এক হাজার টাকা ছিল। ২১ শতাংশ কৃষিজমি ছিল। আর ছিল ৮৭ হাজার টাকা মূল্যের মোটরসাইকেল।

ওই নির্বাচনের হলফনামায় তিনি জানিয়েছিলেন,  তার স্ত্রীর এক ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে। এখন যা বেড়ে ১০ ভরি হয়েছে। তখন নিজের বলতে বাড়ি ও গাড়ি ছিল না হিরো আলমের।

চার বছর আগে হিরো আলম পেশা দেখিয়েছিলেন কৃষি আর এখন তার পেশা ব্যবসা।

২০১৮ সালের নির্বাচনে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ের কথা জানিয়েছিলেন হিরো আলম। এর মধ্যে নিজের অভিনয় ও ব্যবসা থেকে ৫ লাখ এবং শ্বশুর ও ভগ্নিপতির কাছ থেকে ধার করেছিলেন আরও ৫ লাখ। তবে এবার নির্বাচনী ব্যয়ের উৎস জানাননি তিনি।

নিজের আয় সম্পর্কে হিরো আলম বলেন, আপনারা সবাই জানেন আমার কোনো কালোটাকা নেই। স্টেজ শো ও অভিনয় করে উপার্জন করি। নাটক, সিনেমা ও মিউজিক ভিডিও নির্মাণের ব্যবসা করি আমি।

তিনি বলেন, ইউটিউব থেকে আয় রয়েছে আমার। এসব আয় থেকেই আমি সৎভাবে জীবন যাপন করছি। একটু একটু করে জমিয়েছি। হলফনামায় আমি সম্পদের যে তথ্য দিয়েছি, তার সবই সৎভাবে উপার্জিত। আমার কোনো অসৎ রোজগারের অর্থ নেই।

প্রসঙ্গত, ইউটিউবে ৫ শতাধিক মিউজিক ভিডিও ছেড়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। ইউটিউবে তার ভিডিওগুলো বেশ জনপ্রিয়। এরইমধ্যে  ‘সাহসী হিরো’ ও ‘মার ছক্কা’নামে দুটি চলচ্চিত্রের নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন হিরো আলম।