কারামুক্ত ফখরুল-আব্বাস

দীর্ঘ এক মাসের মাথায় কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ সোমবার (৯ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা। মুক্তির পর কারাফটকে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমেই পতন ঘটাতে হবে আওয়ামী লীগ সরকারের। সরকারের পতন ঘটাতে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।

কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত ৭ ডিসেম্বর দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরদিন গভীর রাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে সংঘর্ষের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় দলটির শীর্ষস্থানীয় এই দুই নেতাকে।

পুরো একমাস কারাবন্দি থাকার পর আজ সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস।

দুই নেতার জামিনে মুক্তির খবর আগের দিনই নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। দুই নেতাকে স্বাগত জানাতে দুপুর থেকেই বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী জড়ো হয়েছিলেন কারাগারের সামনে।

কারাফটক দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসার পর মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে ফুল দিয়ে বরণ করেন নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।

নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের শিগগির মুক্তি দিতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।

এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের জনগণের আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটবে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।

ছাদখোলা গাড়িতে মির্জা ফখরুলের পাশে দাঁড়িয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই বর্তমান ‘অবৈধ’ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

এর আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিন আবেদন তিনবার নাকচ হয়। পরে দুই নেতার জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে যান বিএনপির আইনজীবীরা। গত মঙ্গলবার দুজনের ছয় মাসের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে রোববার আপিল বিভাগে তার শুনানি হয়। দুই নেতার জামিন আদেশ বহাল রাখেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ।