বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে ডিএমপির নির্দেশনা

গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হচ্ছে ১৩ জানুয়ারি শুক্রবার। ইজতেমাকে সফল করতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ঢাকা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি দপ্তর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

ডিএমপির লোগো

অন্যদিকে গাড়ি পার্কিংয়ের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এছাড়া যাতায়াত সুবিধায় পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ইজতেমায় বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য কিছু স্থান নির্ধারণ করেছে। একই সঙ্গে বিমানবন্দরগামীদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে।

গাড়ি পার্কিং সংক্রান্ত তথ্যে বলা হয়েছে, খিলক্ষেত থেকে আদুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে কোনো যানবাহন পার্কিং করা যাবে না। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের যানবাহন নিম্নবর্ণিত স্থানে (বিভাগ অনুযায়ী) যথাযথভাবে পার্কিং করবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগ পার্কিং: উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের বিজিএমইএ ভবন। আর ১০, ১১ ও ৫ নম্বর ব্রিজের ঢালে। সিলেট বিভাগ পার্কিং: উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর ব্রিজের ঢাল হতে উলোদাহা মাঠ পর্যন্ত।

খুলনা বিভাগ পার্কিং: উত্তরার ১৭ এবং ১৮ নম্বর সেক্টরের খালি জায়গা (বউবাজার মাঠ)। রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং: প্রত্যাশা হাউজিং। বরিশাল বিভাগ পার্কিং: ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন। ঢাকা মহানগরী পার্কিং: ৩০০ ফিট রাস্তা এলাকায় খালি জায়গা। যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই চালক, হেলপারকে গাড়িতে অবস্থান করতে হবে। মালিক ও চালক একে অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা যায়।

ডাইভারশন সংক্রান্ত তথ্য বলা হয়েছে, আখেরি মোনাজাতের দিন অর্থাৎ ১৫ জানুয়ারি ও ২২ জানুয়ারি ভোর ৪টা থেকে কয়েকটি পয়েন্টে ডাইভারশন হবে। এগুলো হলো, ধউর ব্রিজ, ১৮ নম্বর সেক্টর পঞ্চবটী ক্রসিং, পদ্মা ইউলুপ, ১২ নম্বর সেক্টর খালপাড়, মহাখালী ক্রসিং, হোটেল রেডিসন ব্লু ক্রসিং, প্রগতি সরণী (বিশ্বরোড), কুড়াতলী ফ্লাইওভার লুপ-২, মহাখালী ফ্লাইওভার পশ্চিম পার্শ্ব, মিরপুর দিয়াবাড়ী বাসস্ট্যান্ড ক্রসিং ও আশুলিয়া বাজার ক্রসিং।

আখেরি মোনাজাতের আগের রাত অর্থাৎ ১৪ জানুয়ারি ও ২১ জানুয়ারি রাত ২টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কভার্ডভ্যান ও অন্যান্য যানবাহন আব্দুল্লাহপুর, ধউর ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণী-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে। আশুলিয়া হতে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহন আব্দুল্লাহপুর না এসে ধউর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে ডানে মোড় নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।

মহাখালী বাসটার্মিনাল হতে আব্দুল্লাহপুরগামী আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ সব প্রকার যানবাহন মহাখালী ক্রসিং-এ বামে মোড় নিয়ে বিজয় সরণী-গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে। কাকলী ও মিরপুর হতে উত্তরাগামী বড় বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানগুলোকে হোটেল র‍্যাডিসন গ্যাপে ডাইভারশন করা হবে। উল্লেখিত যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে।

বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য ১৫ জানুয়ারি ও ২২ জানুয়ারি ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় একটি বড় মাইক্রোবাস পদ্মা ইউলুপ, ২টি মিনিবাস নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেটে এবং একটি বড় মাইক্রোবাস কুড়াতলী লুপ-২ এ ফ্রি পরিবহন সার্ভিসের জন্য ভোর ৪টা হতে মোতায়েন থাকবে।

এছাড়া ইজতেমায় যাতায়াত সুবিধায় পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে বলে বাংলাদেশ রেলওয়েরর (পূর্বাঞ্চল) এসিওপিএসপি চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট কামাল আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডেতে বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ইজতেমাকে কেন্দ্র করে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, প্রশাসন, ঢাকা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি দপ্তর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।