একনেকে ১১ প্রকল্প অনুমোদন, তালিকায় নেই ইভিএম

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহি কমিটি (একনেক) প্রায় ১০ হাজার ৬৪০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। তবে তালিকায় ছিল না ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প।

শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা

আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব প্রকল্প পাশ হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের তালিকায় ছিল না। প্রধানমন্ত্রী এটা নিয়ে জানতেও চাননি।

পাশ হওয়া প্রকল্পের মধ্যে সরকারি অর্থায়ন হবে ৭ হাজার ৮২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ২ হাজার ৮৮০ কোটি ১৮ টাকা।

প্রকল্পগুলোর মধ্যে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার মচিখালি পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬৫১ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শ্রীমাই নদীতে নির্মাণ প্রকল্প (ব্যয় ১৩৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা), বরিশাল জেলার কারখানা বিঘাই এবং পায়রা নদীর ভাঙন থেকে শেখ হাসিনা সেনানিবাস এলাকা রক্ষা প্রকল্প (ব্যয় ৬৭৬ কোটি টাকা), ঢাকার দোহার উপজেলাধীন মাঝিরচর থেকে নারিশাবাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদী ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প (ব্যয় ৫২৮ কোটি টাকা), বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকুলীয় ছোট দ্বীপ এবং নদীর চরের জন্য অভিযোজন উদ্যোগ প্রকল্প (ব্যয় ৭৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা)।

এছাড়া মাতারবাড়ী কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (ব্যয় ৩৬৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা), কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্প (ব্যয় ৩১৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা), কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার মচিখালি পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্প (ব্যয় ৫ হাজার ৬৫১ কোটি ১৩ লাখ টাকা), ইস্টাবিলিশমেন্ট অব গ্লোবার মেরিটাইম ডিজট্রিজ অ্যান্ড সেফলি সিস্টেম অ্যান্ড ইন্টারগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম প্রকল্প (ব্যয় ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা), বাংলাদেশে ২৫টি শহরে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন প্রকল্প (ব্যয় ২ হাজার ২১০ কোটি ৭০ লাখ টাকা) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, আরও দুই লাখ ইভিএম কেনার জন্য আট হাজার ৭১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে প্রকল্পটি এখনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বর্তমানে প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।