'আফগানিস্তানে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র'

আফগানিস্তান বিষয়ক রাশিয়ার বিশেষ দূত জামির কাবুলভ অভিযোগ করেছেন, ওয়াশিংটন বর্তমান আফগানিস্তানের সশস্ত্র বিরোধীদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। রাশিয়া২৪ টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাবুলভ এ অভিযোগের পাশাপাশি আরও বলেন, সম্পদ জব্দ করে আফগানিস্তানের নতুন প্রশাসনকে ব্ল্যাকমেইল করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর তোলোনিউজ।

জামির কাবুলভ

কাবুলভ বলেন, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র যে লজ্জাজনক সামরিক-রাজনৈতিক পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছে, তারা এর প্রতিশোধ নিতে চায়। এর অংশ হিসেবে তারা কামনা করে, যাতে আফগানিস্তানে দীর্ঘমেয়াদে কোনো শান্তি প্রতিষ্ঠিত না হয়। এ জন্য তারা বর্তমান আফগান সরকারের সশস্ত্র বিরোধীদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলছে। আর এর চেয়েও খারাপ হল, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে তারা গোপনে দায়েশকে পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে।

তিনি আরও বলেন, এসবের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানকে অস্থিতিশীল রাখতে চায়। এর পাশাপাশি তারা ব্ল্যাকমেইলের অজুহাত হিসেবে সম্পদ আটকে রাখার পদ্ধতিটি ব্যবহার করছে। এমনকি আফগানিস্তানে বরাদ্দ করা মানবিক সহায়তাকেও তারা চাপের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

কাবুলের মসজিদে দায়েশের হামলা

এদিকে কাবুলভের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, আফগানিস্তানে কোনো দেশকেই হস্তক্ষেপ করতে দেবে না তার সরকার। আফগানিস্তান একটি স্বাধীন দেশ উল্লেখ করে তিনি মন্তব্য করেন, আমরা এখানে কোনো দেশের হস্তক্ষেপ চাই না এবং আমরা সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য কাজ করি।

আফগানিস্তানের উপ-অর্থমন্ত্রী ড. আবদুল লতিফ নাজারি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগান জনগণের সম্পদ আটকে রাখার বিষয়টিকে রাজনৈতিক চাপের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। মার্কিন এ পদক্ষেপটি আফগান জনগণকে তাদের অর্থনীতি ও জীবিকার ক্ষেত্রে একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে।

অন্যদিকে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবদুল জামিল শিরানি বলেছেন, ইসলামী আমিরাতের উচিত এই অঞ্চলের দেশগুলোসহ সব দেশের সাথে তার সম্পর্ক জোরদার করা, যাতে যুক্তরাষ্ট্র আর কখনোই আফগানিস্তানে হস্তক্ষেপ করতে না পারে।