ট্রান্স ফ্যাটে প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন। এ জাতীয় খাবার হৃদরোগ এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ট্রান্স ফ্যাট সম্পূর্ণ বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার
ডব্লিউএইচও এক প্রতিবেদনে জানায়, বিশ্বের প্রায় ৫ বিলিয়ন অর্থাৎ ৫০০ কোটি মানুষ ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত বিষাক্ত খাবারে আসক্ত। এটি এমন একটি কৃত্রিম বিষাক্ত রাসায়নিক, যা সাধারণত প্যাকেটজাত খাবার, পোড়া পণ্য, রান্নার তেল এবং স্প্রেড জাতীয় খাবারে পাওয়া যায়। প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী এই ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড।
জনস্বাস্থ্য বিষয়ক রিজলভ টু সেভ লাইভস এর সভাপতি এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টম ফ্রাইডেন বলেছেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্য থেকে ট্রান্স ফ্যাট নির্মূল করা গেলে, ২০৪০ সালের মধ্যে হৃদরোগের হাত থেকে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ডব্লিউএইচও-র 'বেস্ট প্র্যাক্টিস' নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে প্রতিটি দেশ এই মৃত্যু রোধ করতে পারে।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ইতোমধ্যে মেক্সিকো, নাইজেরিয়া এবং শ্রীলঙ্কাসহ বেশ কয়েকটি দেশ এই জীবন রক্ষাকারী নীতিগুলো কার্যকর করতে যাচ্ছে। এখন নীতি বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করতে হবে।
ফ্রাইডেন বলেছেন, 'কোনো একটি দেশে এ নীতি প্রয়োগ করা হলে, তা অন্য দেশকেও উৎসাহিত করতে পারে। আমরা আশা করছি, ভারত, বাংলাদেশ এবং ফিলিপাইনের মতো দেশগুলো পুরো দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য উদাহরণ হয়ে উঠবে।'
ডব্লিউএইচও প্রতিবেদনে বলেছে, আমেরিকা ও ইউরোপসহ ধনী দেশগুলোতে কেবলমাত্র ট্রান্স ফ্যাট নির্মূল বিষয়ক নীতিমালা প্রয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে অনেকেই এ নীতি অনুসরণ করছে। তবে এখন পর্যন্ত নিম্ন আয়ের কোনো দেশ তা করেনি।