বাসিত আলি: আজহার ভাইকে কেউ ঘাঁটাত না

ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনকে সমীহ করে চলত প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান দলের সদস্যরাও। ফলে ভারতের অন্য সবাইকে স্লেজিং করলেও আজহারউদ্দিন থাকতেন নিরাপদে। এমনটিই বলেছেন, পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলি।

মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন (ইনসেটে বাসিত আলি)

ভারত-পাকিস্তান খেলা মানেই বিশ্বকাপের চেয়ে বড় কিছু। এই লড়াই বিশেষ করে এই দুই দলের ক্রিকেট লড়াইয়ে অন্যরকম একটি আবহ তৈরি হতো বিশ্বজুড়েই। দুই দলের মধ্যে স্লেজিংও চলতো সমান তালে। দলে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব দেওয়া হতো স্লেজিং করে প্রতিপক্ষের মনোযোগ নষ্ট করার। পাকিস্তানের এ স্লেজিং থেকে বাঁচতে পারেনি শচীন টেন্ডুলকার, বিনোদ কাম্বলি থেকে শুরু করে কেউ। তবে আজহারউদ্দিন ছিলেন এই হিসাবের বাইরে। তাকে ঘাঁটানোর সাহস হতো না কারোর।

সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে পুরোনো সেই সব দিনের ঘটনা স্মৃতিচারণ করেন বাসিত আলি। তিনি বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে প্রত্যেকটি ম্যাচের আগে আমাকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হতো। শচীন টেন্ডুলকার, অজয় জাদেজা, নভজ্যোত সিং সিধু, বিনোদ কাম্বলিরা ব্যাট করতে নামলেই ওদের উত্ত্যক্ত করতে বলে দেওয়া হতো। আমিও সে আদেশ পালন করে ভারতীয় ব্যাটম্যানদের মনোযোগে চিড় ধরানোর চেষ্টা করতাম। তবে আমি কখনও আজহার ভাইকে ঘাঁটাতাম না। তাকে সব সময় এ সবের বাইরেই রাখা হতো।

ওয়াসিম আকরাম ও আজহারউদ্দিন

তাহলে কি আজহারউদ্দিনকে ভয় পেতেন পাক ক্রিকেটাররা? এমন প্রশ্নের জবাবে বাসিত বলেন, কোনো ধরনের ভয় নয়, বরং শ্রদ্ধা থেকেই আজহারকে উত্ত্যক্ত করার তালিকা থেকে বাইরে রাখা হতো। শুধু আমি নই, আকরাম (ওয়াসিম আকরাম) ভাই, রশিদ (রশিদ লতিফ) ভাই বা ইনজামাম ভাই, কেউ আজহারকে উত্ত্যক্ত করতেন না। সেটা ভয় থেকে নয়। সেটা ছিল শ্রদ্ধা থেকে। পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমের প্রত্যেকে আজহার ভাইকে খুব শ্রদ্ধা করতেন।

সাক্ষাৎকারে বাসিত আলি বলেন, ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের বেশ কিছু ঐতিহাসিক মুহূর্ত রয়েছে। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বেঙ্কটেশ প্রসাদ-আমির সোহেলের বিতর্ক, ২০১১ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গৌতম গম্ভীর-শাহিদ আফ্রিদি বিতর্কের মতো ঘটনাগুলো মাঝে মধ্যেই তৈরি হয়েছে। তবে আজহারউদ্দিনকে ঘিরে এ ধরনের কোনো পর্যায় তৈরি হয়নি।