পম্পেও: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হবেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স

সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রশংসা করে বলেছেন, তিনি হবেন তার সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের একজন। তার নতুন বই, ‘নেভার গিভ অ্যান ইঞ্চি: ফাইটিং ফর দ্য আমেরিকা আই লাভ’-এ রিয়াদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন। আল আরাবিয়া নিউজ।

সৌদি বাদশাহ সালমানের সাথে মাইক পম্পেও

ওয়াশিংটন পোস্ট পম্পেওকে তার বইয়ের জন্য সমালোচনা করেছে। কারণ বইতে তিনি বলেছেন, গণমাধ্যমটি সৌদি আরবের সাথে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা করছে।

পম্পেও লিখেছেন, প্রগতিশীল বামরা মুহাম্মদ বিন সালমানকে (এমবিএস) ঘৃণা করে, যদিও তিনি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক সংস্কারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি প্রমাণ করবেন, তিনি হবেন তার সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের একজন। বিশ্ব মঞ্চে সত্যিকারের ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভুত হবেন তিনি।

পম্পেও ট্রাম্প প্রশাসন কয়েকজন কর্মকর্তার মধ্যে একজন, যারা পদত্যাগ করেননি বা ট্রাম্প প্রশাসন থেকে বরখাস্ত হননি। সিআইএ প্রধান এবং রেক্স টিলারসনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর ট্রাম্প তাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

পম্পেও বলেন, ইরাকের গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে, দেশটিকে পশ্চিমের সাথে সংযুক্ত রাখতে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করছে সৌদি আরব। যখন এমবিএস ক্রাউন প্রিন্স হন, তখন তার প্রথম প্রচেষ্টা ছিল ইয়েমেন থেকে ইরানের প্রভাব মূলোৎপাটন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করা। তাছাড়া সেখানে দুর্ভিক্ষ এড়াতে খাদ্য সরবরাহেও সহায়তা করেন তিনি।

খবরে বলা হচ্ছে, ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথিদের বিরুদ্ধে আরব সামরিক জোট পরিচালিত আগ্রাসন বন্ধ চায় বাইডেন প্রশাসন। পম্পেও মনে করেন, সৌদি আরব ইয়েমেন থেকে সানন্দে সব শক্তি প্রত্যাহার করবে, যদি ইরানীরা চলে যেতে রাজি হয়। রিয়াদ অবিলম্বে হুথিদের প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দেবে বলে প্রত্যাশা করে।

পম্পেওর দাবি, ইরানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে সম্মত হয়েছে সৌদি আরব। নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে আইওয়া এবং দক্ষিণ ক্যারোলিনা থেকে নেভাদা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি কৌশলগত অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ।

পম্পেও বলেন, তেলের স্থিতিশীলতার জন্য সৌদি আরবের প্রয়োজন। সৌদি আরবের সাথে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব প্রথমে সহজ ছিল না। তবে এ ব্যাপারে রিয়াদে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন আবিজাইদকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। সৌদি আরবের সাথে তেল উৎপাদনে সহযোগিতা ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ক্ষেত্রে সহজ হয়েছে। এজন্য মোহাম্মদ বিন সালমানকে তিনি ধন্যবাদ জানান।