ইউক্রেনকে অস্ত্র না দিলে যুদ্ধ পুরো ইউরোপে ছড়িয়ে পড়বে!

ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক বলেছেন, রাশিয়ার মোকাবেলায় ইউক্রেন যদি অস্ত্র না পায় তাহলে পুরো ইউরোপেই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সম্প্রতি কিয়েভের চাহিদামতো অস্ত্র দিতে বেশকিছু দেশ অস্বীকৃতি জানালে তিনি এসব কথা বলেন। খবর আল জাজিরা।

মিখাইলো পোডোলিয়াক

যুদ্ধের শুরু থেকে ইউক্রেনকে নানা ধরনের সহায়তা করে আসলেও লেপার্ড ২ ট্যাংক দিতে রাজি ছিল না জার্মানি।  এতে তাদের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়তে থাকে। অবশেষে গত সপ্তাহে জার্মানি কিয়েভকে এ ট্যাংক দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানায়। এর পরপরই ইউক্রেন মিত্র দেশগুলো থেকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান, রণতরী, সাবমেরিনের মতো যুদ্ধাস্ত্র দেওয়ার আহ্বান জানাতে শুরু করে।

কিয়েভের এসব আহ্বানে প্রায় সব দেশই সরাসরি অস্বীকৃতি জানায়। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল মঙ্গলবার ইউরোপের উদ্দেশে এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন জেলেনস্কির এই উপদেষ্টা। টুইটারের এক পোস্টে তিনি লেখেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কিছু সদস্যের ধারণা, ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া উচিত নয়। কারণ তাতে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু ইউরোপের কেন্দ্রে এরইমধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।

রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি স্থাপনার সামনে দাঁড়িয়ে আছে দুই সেনা সদস্য

টুইটবার্তায় সতর্ক করে মিখাইলো পোডোলিয়াক আরও বলেন, ইউক্রেন যদি অস্ত্র না পায় তাহলেই বরং পুরো ইউরোপে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে। কারণ ইউক্রেনকে কব্জা করেই রাশিয়া তাদের দখলদারিত্বের সম্প্রসারণ থামাবে না।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো থেকে ব্যাপক সামরিক সহায়তা পাচ্ছে ইউক্রেন। তবে কয়েক মাস ধরে রাশিয়ার হামলা জোরদারের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের মোকাবেলায় ভারী অস্ত্র সহায়তা চাইছিল কিয়েভ। জার্মানিসহ বেশকিছু রাষ্ট্রের অভিমত ছিল, এসব অস্ত্র দেওয়ার অর্থ রাশিয়ার সাথে ইইউ ও ন্যাটোর সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া। তাই তারা এ থেকে দূরে ছিল। তবে অন্যদের সমালোচনা ও অব্যাহত চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত ট্যাংকের মতো অস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানায় জার্মানি।

এর পরপরই আরও ভারী অস্ত্র চাইলে তাতে বেঁকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন, তার প্রশাসন ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক কোনো যুদ্ধবিমান দেবে না। এর আগে জার্মান চ্যান্সেলর ওলফও কিয়েভকে যুদ্ধবিমান না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।