গণপরিবহনের ভোগান্তি বন্ধ না করে বাইক বন্ধের কারণ কি?

ঢাকা ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে প্রস্তাবিত খসড়া নীতিমালা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাইকাররা। বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে এ দাবি জানিয়েছেন তারা। এ সময় ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন কয়েকশ বাইকার।

জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন বাইকাররা

সম্প্রতি মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা ২০২৩ নামে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকায় ৩০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। মহাসড়কে ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চালানো যাবে না। মহাসড়কে চালক ব্যতীত কোনো আরোহী মোটরসাইকেলে উঠতে পারবেন না। ঈদ ও উৎসবের ১০ দিন আগে-পরে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। 

এসব খসড়া নীতিমালার বিষয়ে বাইকাররা বলেন, এসব নীতিমালা পুরোপুরি সাংঘর্ষিক ও অবাস্তব। একটি রিকশা যেখানে ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলে, সেখানে বাইকের গতিসীমা ৩০ কিলোমিটার গ্রহণযোগ্য নয়।

বক্তারা বলেন, মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশ তরুণ উদ্যোক্তা, যারা সাধারণত ১২৫ সিসি বা তার চেয়ে কম সিসির বাইক ব্যবহার করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে মহাসড়কে ১২৫ সিসির মোটরসাইকেল চলতে না দিলে তাদের ব্যবসায় বাঁধার সৃষ্টি হবে। ঈদ ও অন্যান্য উৎসবে মোটরসাইকেলের ব্যাপক ব্যবহার হয়। তখন মোটরসাইকেল চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করলে সামগ্রিক অর্থনীতিতেই বিরূপ প্রভাব পড়বে।

বক্তারা আরও বলেন, ঈদের সময় বাসে-ট্রেনে টিকিট পাওয়া যায় না, তখন দেখা যায় আমাদের ভাই-বোন, স্ত্রী বা আত্মীয় স্বজন থাকেন যারা বাড়িতে যাবেন। ওই মুহূর্তে তাদেরকেতো বাইকে নিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। কিন্তু নতুন নীতিমালায় আমাদেরকে বিপদে পড়তে হবে। আমরা চাই এমন নীতিমালা হোক যাতে আমরা নিরাপদে বাইক চালিয়ে গন্তেব্যে যেতে পারি। সেই নীতিমালা আমরা অবশ্যই সবাই মেনে চলব।    

সমাবেশে বাইকাররা প্রশ্ন তুলেছেন, গণপরিবহনের উচ্ছৃঙ্খল চলাচলে হস্তক্ষেপ না করে বাইক বন্ধ করে কী উদ্দেশ্য হাসিল হবে?