কমছে গ্রাহক, বন্ধ হচ্ছে ব্যাংক

অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর একটি ওয়েস্টপ্যাক ব্যাংক। এটির কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, আঞ্চলিক এবং গ্রামীণ এলাকায় কিছু শাখা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গ্রাহক কমে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি। তবে তাদের সিদ্ধান্ত স্থানীয় লোকজনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। দ্য ইপোক টাইমস।

সিডনিতে ওয়েস্টপ্যাক ব্যাংকের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক গ্রাহক

ওয়েস্টপ্যাক ব্যাংকের আঞ্চলিক এবং গ্রামীণ শাখা বন্ধ হওয়ার বিষয়ে সিনেট শুনানি চলছে। ব্যাংকটির প্রধান গ্রাহক এনগেজমেন্ট অফিসার রস মিলার বলছেন, ক্ষুদ্র সংখ্যালঘুদের জন্যও আমাদের ব্যাংকিং সেবা চলমান। তবে গ্রামীণ শাখাগুলোতে গ্রাহক কমে আসছে।

প্রথম সিনেট শুনানির আয়োজন করা হয়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব ভিক্টোরিয়ার সেলের ছোট শহরটিতে। এখানকার একটি শাখা বন্ধ ঘোষণা করে ওয়েস্টপ্যাক। তদন্তে আঞ্চলিক শাখা বন্ধের প্রভাব খুঁজে বের করার জন্য ব্যাংকের নির্বাহী, সিটি কাউন্সিলর এবং স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তদন্তে ধরা পড়ে, মাত্র কয়েকজন গ্রাহককে ইমেইলের মাধ্যমে শাখা বন্ধের ব্যাপারে জানানো হয়। অধিকাংশ গ্রাহক জানেনই না, শাখাটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এখন তারা বিপাকে পড়েছেন।

ওয়েস্টপ্যাক ২০২৩ সালে কুইন্সল্যান্ড, ভিক্টোরিয়া, নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) এবং দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া জুড়ে ২০টি শাখা বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর সরকারের টনক নড়ে। তদন্তে দেখা যায়, বন্ধ ঘোষিত শাখাগুলো আঞ্চলিক এবং গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত।

অস্ট্রেলিয়ান প্রুডেনশিয়াল রেগুলেশন অথরিটির তথ্য অনুসারে, দেশটিতে ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সারাদেশে ১৬৮০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে ৬৭৭টি আঞ্চলিক এবং গ্রামীণ এলাকায় ছিল।

কোভিড মহামারির প্রথম বছরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শাখা বন্ধ হয়েছে। ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ৪৬৬টি শাখা বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে এনএসডব্লিউ ব্যাংকের সবচেয়ে বেশি শাখা বন্ধ হয়েছে। এই সংখ্যা  ৫২৬। তার পরের অবস্থানে রয়েছে ভিক্টোরিয়া ৪০৩ ও কুন্সল্যান্ড ব্যাংকের ৩৬৪ শাখা বন্ধ হয়ে গেছে।

প্রধান ব্যাংকগুলো বলছে, পায়ে চলাচল কমে যাওয়ায় মানুষ ব্যাংকে আসাও কমিয়ে দিয়েছে। ডিজিটাল সেবা গ্রাহকদের প্রথম পছন্দ। ক্রমেই তাদের সংখ্যা বাড়ছে। ওয়েস্টপ্যাক কর্মকর্তা মিলার বলেন, ব্যাংক লেনদেনের ৯৬ শতাংশই হচ্ছে এখন ডিজিটাল উপায়ে।