আমরা এখন হাতে নিয়ে যে ফোন ব্যবহার করি, ভবিষ্যতে তা ডিভাইস আকারে মানুষের ত্বকের নিচে সংযুক্ত থাকবে, এমনটাই মনে করেন মোবাইল ফোনের জনক আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার। গত সোমবার সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন আভাস দেন তিনি।

martin cooper 1মার্টিন কুপার

মার্টিন কুপার বলেন, ভবিষ্যতে দেখা যাবে মানুষের কানের নিচে ফোনের ডিভাইস যুক্ত থাকবে, যার মাধ্যমে কথা বলা ও শোনা যাবে। এই ডিভাইসটি আলাদাভাবে চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না, এটি মানুষের শরীর থেকেই চার্জ নেবে।

কুপার আরও বলেন, মানুষের শরীরই একটা পারফেট চার্জার। আমরা যখন খাবার খাই তখন শরীরে শক্তি উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়াটাকেই বিজ্ঞানীরা হয়ত কাজে লাগাতে পারে। তাছাড়া ছোট ওই ডিভাইস চালাতে খুব বেশি শক্তির প্রয়োজন হবে না।

কুপারের এমন বক্তব্যের কারণে স্বাভাবিকভাবে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, ভবিষ্যতে মোবাইল ফোনে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। মানুষের শরীরে বসতে পারে শক্তিশালী ক্ষমতা সম্পন্ন সেন্সর। ইতোমধ্যে কম্পিউটারকে মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে ইলন মাস্কের নিউরালিংকের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে দিয়েছে।

১৯৭৩ সালে প্রথম মোবাইল ফোন উদ্ভাবন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে নতুন বিপ্লব নিয়ে আসেন মার্টিন কুপার। তখন তিনি মটোরোলা কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মার্টিন কুপার বলেন, বর্তমানে স্মার্টফোনগুলোতে অনেক অ্যাপ্লিকেশন থাকার ফলে এটি বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। আমি যখন ফোনে কথা বলি তখন এতে কোনো ইয়ারপিস থাকে না, তাই এত বড় স্ক্রিনের একটা বস্তু হাতে নিয়ে কানের সঙ্গে লাগিয়ে কথা বলতে হয়, যা অস্বস্তিকর।

মার্টিন কুপার আরও বলেন, ভবিষ্যতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো খাতে মানুষ সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.