এক লাফে ৬৮ ধাপ উপরে শান্ত

ঘরের মাঠে সদ্য সমাপ্ত ইংল্যান্ড সিরিজটা স্বপ্নের মতো কেটেছে নাজমুল হোসেন শান্তর। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে রান পাননি। পরের দুই ওয়ানডেতে তুলে নিয়েছেন দুই ফিফটি। ধারাবাহিকভাবে রান করেছেন টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই করতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন তিনি। তাতে সিরিজ সেরার পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন। এবার আইসিসিও পুরস্কৃত করল তাকে।

নাজমুল হোসেন শান্ত

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই তিনি রান পেয়েছেন। প্রথম ম্যাচে করেছেন ৫১ রান, দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন ৪৬ রানে। শেষ ম্যাচেও গুরুত্বপূর্ণ ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন। দুই ম্যাচে অপরাজিত থাকার সুবাদে ব্যাটিং গড় ১৪৪! ১২৭.৮৩ স্ট্রাইক রেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তার সংগ্রহ ১৪৪ রান। দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ হিসেবে যা বাংলাদেশিদের মধ্যে রেকর্ড।

অবিশ্বাস্য এই পারফরম্যান্সে আইসিসির সবশেষ টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে (ব্যাটিং বিভাগে) ৬৮ ধাপ উন্নতি হয়েছে শান্তর। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের তালিকায় সেরা ২০-এ উঠে এসেছেন বাহাতি এই ব্যাটার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করেছিলেন র‌্যাঙ্কিংয়ে ৮৪তম অবস্থানে থেকে। সিরিজ শেষে এখন তিনি ১৬-তে অবস্থান করছেন।

টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে শান্তই এখন সবার উপরে অবস্থান করছেন। তার পরেই আছেন সতীর্থ লিটন কুমার দাস। সিরিজের শেষ ম্যাচে ৭৩ রানের ইনিংসের সুবাদে র‌্যাঙ্কিংয়ে লিটন লাফ দিয়েছেন ৯ ধাপ। সবশেষ হালনাগাদ টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে তার অবস্থান ২২তম। বাংলাদেশিদের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছেন আফিফ হোসেন, তার অবস্থান ৫০তম।

বোলারদের মধ্যে উন্নতি হয়েছে পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের। বাহাতি এই পেসার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের সিরিজে ভালো করতে না পারলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ বল করেছেন। তার এই পারফরম্যান্স প্রভাব রেখেছে র‌্যাঙ্কিংয়েও। ১৬ ধাপ এগিয়ে কাটারমাস্টার এখন টি-টোয়েন্টির ২০ নম্বর বোলার।

এছাড়া বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি র‌্যাঙ্কিংয়ে লাফ দিয়েছেন ৯ ধাপ, ২৪ নম্বরে অবস্থান সাকিবের। নাসুম আহমেদ আছেন ৩১ নম্বরে।