নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা পেলে ফিরবেন রোহিঙ্গারা

নাগরিক অধিকার ও নাগরিক হিসেবে সবধরনের নিরাপত্তা-সুবিধা পেলে তবেই মিয়ানমারে ফিরে যাবেন রোহিঙ্গারা, এমনটাই জানিয়েছেন  বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা। ১৫ মার্চ, বুধবার সকালে টেকনাফে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের কাছে এসব কথা বলেন রোহিঙ্গারা।

নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা পেলে ফিরবেন রোহিঙ্গারা

প্রথম দিনে একশ রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেছেন মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এ সময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধিসহ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন,  আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে ২০১৭ সালের শেষের দিকে  মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। ২০১৯ সালে দুদফা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা তুলে তখন ফিরতে রাজি হননি রোহিঙ্গারা।

এর মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চেষ্টা থামায়নি বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলতে বুধবার কক্সবাজারের টেকনাফে আসে মিয়ানমারের ২২ জনের প্রতিনিধি দল।

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চেষ্টা থামায়নি বাংলাদেশ

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘টেকনাফের লেদা-নয়াপাড়া ক্যাম্পের ৫০ থেকে ৬০ জন রোহিঙ্গার সাথে কথা বলেছেন মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল। রোহিঙ্গাদের কাছে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল জানতে চেয়েছে, তারা নিজ দেশে (মিয়ানমার) ফিরতে চান কিনা। জবাবে রোহিঙ্গারা বলেছেন, মর্যাদাপূর্ণ নাগরিক অধিকার, নিরাপত্তা, জায়গা-জমি ও রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে তবেই তারা মিয়ানমারে ফিরবেন।’

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করতে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি ছয় দিনের সফরে এসেছে। এ সময়ের মধ্যে তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন।

মিজানুর রহমান আরও বলেন, মূলত ২০১৮ সালে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে ৮ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দেওয়া হয়। এরপর মিয়ানমার ৬৮ হাজার রোহিঙ্গার ফিরতি তালিকা পাঠায়। সেখানে অনেক পরিবারের সদস্য বাদ পড়ে। বিষয়টি তাদের (মিয়ানমারকে) জানানো হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে তথ্য যাচাই-বাছাই করতে তারা (মিয়ানমার) আগ্রহ প্রকাশ করে।