১০০ রেস্তোরাঁর মাত্র ৪টিতে মানসম্পন্ন খাবার!

রেস্তোরাঁগুলোর সরবরাহ করা খাবার মানসম্মত কিনা তা নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটি। সংস্থাটির জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের ১০০ রেস্তোরাঁর মধ্যে মাত্র চারটিতে মানসম্মত পাওয়া গেছে। বাকি ৯৬টিতে মানহীন খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।

অধিকাংশ রোস্তোরাঁয় মানহীন খবার

২০১৮ সালে করা এই জরিপে অথরিটির পক্ষ থেকে মানসম্মত রেস্তোরাঁগুলো সবুজ স্টিকার পেয়েছে। রেস্তোরাঁর খাবারের মান শনাক্ত করতে জরিপে লাল, হলুদ এবং সবুজ স্টিকারের ব্যবস্থা রাখা হয়।

যেসব রেস্তোরাঁ হলুদ স্টিকার পেয়েছে, তাদের খাবারে কিছু সমস্যা আছে, যা সামান্য প্রচেষ্টায় উন্নত করা যেতে পারে। নিম্নমানের খাবারের রেস্তোরাঁগুলোকে লাল স্টিকার দিয়ে শনাক্ত করা হয়েছে।

খবরে বলা হচ্ছে, ১০০টি রেস্তোরাঁর মধ্যে ৫১টি রেস্তোরাঁ লাল স্টিকার পেয়েছে। হলুদ স্টিকার পেয়েছে ৪৫টি, যা বাংলাদেশি রেস্তোরাঁর খাবারের মান নিয়ে একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরে।

চার বছরে খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ সারা দেশে মাত্র ১৫০ রেস্তোরাঁয় স্টিকার লাগাতে সক্ষম হয়। এদের ১০ শতাংশও ভালো মানের খাবার সরবরাহ করছে না।

বাংলাদেশে রেস্তোরাঁর খাবারের মান পর্যবেক্ষণের জন্য ১১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার একটি জনপ্রিয় বিরিয়ানির আউটলেট সুলতানস ডাইন তাদের খাবারে ছাগল ছাড়া অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহার করছে বলে এক গ্রাহক অভিযোগ করলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগ অনুসারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর একটি অভিযান পরিচালনা করে এবং পরে একটি শুনানি করে। তবে অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়নি। এতে সুলতান ডাইনসের বিরুদ্ধে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

সম্প্রতি ঢাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় নিম্নমানের খাবারের জন্য প্রায়ই অভিযান ও জরিমানা করা হয়। এর জের ধরে হোটেল বন্ধ হওয়ার খবরও পাওয়া যায়। তবে দুর্নীতির কারণে মানহীন রেস্তোরাঁগুলো বছরের পর বছর ব্যবসা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।