আফগানদের ইতিহাস, হোয়াইটওয়াশের মুখে পাকিস্তান

মন্থর উইকেটে ১২ বলে ২২ রানের কঠিন সমীকরণ ছিল আফগানিস্তানের সামনে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তখন পাকিস্তানের হাতে। কিন্তু ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে এসে নাসিম শাহ খরচ করলেন ১৭ রান। লড়াই থেকে ছিটকে যায় শাদাব খানের দল। শেষ পর্যন্ত আফগানদের বিপক্ষে সাত উইকেটে হেরে গেল শাদাব খানের দল।

প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিলো আফগানিস্তান

দুর্দান্ত এই জয়ে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিলো আফগানিস্তান। প্রথম ম্যাচেও খর্বশক্তির পাকিস্তানকে হারিয়েছিলেন রশিদ-নবিরা। এবার এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ জিতলেন তারা। টানা দুই হারে পাকিস্তান পড়ল হোয়াইটওয়াশের মুখে। আজ সোমবার একই ভেন্যুতে মান বাঁচাতে মাঠে নামবে পাকবাহিনী।

রোববার রাতে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ছয় উইকেটে ১৩০ রানের মামুলি পুঁজি তোলে পাকিস্তান। জবাবে ম্যাচের এক বল হাতে রেখে নাটুকে জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ফজল হক ফারুকি। চার ওভারে মেডেনসহ ১৯ রান খরচায় দুই উইকেট নেন আফগান পেসার।

দারুণ বোলিং করেছেন রশিদ খানও। চার ওভারে ১৬ রানের বিনিময়ে এক উইকেট পেয়েছেন আফগান অধিনায়ক। তাদের বোলিং তোপে ইনিংসের শুরু থেকেই কাঁপতে থাকে পাকিস্তান। প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন ফারুকি। দলীয় ২০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। মোহাম্মদ হ্যারিস নয় বলে ১৫ এবং তৈয়ব তাহির ২৩ বলে ১৩ রান করেন।

দ্বিতীয়জনের প্রস্তর যুগের ব্যাটিংই মূলত ডুবিয়েছে পাকিস্তানকে। ইমাদ ওয়াসিমের হাফসেঞ্চুরি ও শাদবের ঝোড়ো ব্যাটিংও এর খেসারত দিতে পারেননি। ৬৩ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর এই দুই ব্যাটারই পাকবাহিনীকে এগিয়ে নেন। ৫৭ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন ইমাদ। তার সঙ্গী শাদাব ২৫ বলে ৩২ রানের অজেয় ইনিংস খেলেন।

সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩০ রান যোগ করে আফগানিস্তান। নয় বলে সাত রানে ফেরেন উসমান গনি। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়েন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদ্রান। কিন্তু দুজনই ব্যাট চালিয়েছেন বেশ রয়েসয়ে। ৪৯ বলে ওপেনার গুরবাজ ৪৪ এবং ৪০ বলে ৩৮ রান করেন জাদ্রান।

শেষ দিকে নাজিবুল্লাহ জাদ্রান ও মোহাম্মদ নবির ছোটখাটের ঝড়ের ওপর দাঁড়িয়ে ইতিহাস গড়ে আফগানিস্তান। ১২ বলে ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন জাদ্রান। নয় বলে ১৪ রান এসেছে নবির ব্যাট থেকে। দুজনই অপরাজিত থেকে দলকে চূড়ান্ত উৎসবের উপলক্ষ এনে দেন। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে একটি করে উইকেট নেন জামান খান ও ইহসানউল্লাহ।