ইয়েমেনকে ২শ’ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেন এক কঠিন সংকটে আবর্তিত। দেশটির নারী-শিশুরা বছরের পর বছর ধরে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনতিপাত করছে। তাদের সহায়সম্পদ ঘরবাড়ি সবই যুদ্ধে শেষ হয়ে গেছে। দেশটিতে চরম মানবিক সংকট বিরাজ করছে। এই অবস্থায় বিশ্বব্যাংক দেশটির খাদ্য নিরাপত্তা ও অপুষ্টি মোকাবেলায় ২০৭ মিলিয়ন ডলার অনুদান ঘোষণা করেছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের একটি পরিবার

বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া এই অনুদানের লক্ষ্য ইয়েমেনে দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং অপুষ্টি মোকাবেলা করা। এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় ১.৮ মিলিয়ন ইয়েমেনি পরিবার এই অনুদান থেকে উপকৃত হবে। এই বরাদ্দ যুদ্ধ, মূল্যস্ফীতি, জলবায়ু সম্পর্কিত জরুরি অবস্থা মোকাবেলা, গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরের বন্যা এবং কোভিড-১৯ মহামারিতে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি থেকে দরিদ্র পরিবারগুলোকে সহায়তা দেবে।

ইয়েমেনে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে একটি মারাত্মক গৃহযুদ্ধ নেমে আসে। ওই সময় হুথি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানাসহ দেশের বেশিরভাগ অংশ দখল করে নেয়। এর ফলে দেশটিতে চেপে বসে যুদ্ধ। সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি জোট সরকারকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে দিতে ২০১৫ সালের প্রথম দিকে সামরিক হস্তক্ষেপ শুরু হয়।

সৌদি সামরিক জোট দেশটিতে টানা আট বছর ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। বাস্তুচ্যুত হয় লাখ লাখ মানুষ। এর ফলে দেশটিতে সৃষ্টি হয় বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকট। এই অবস্থায় লাখ লাখ মানুষ এখন অনাহারে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে৷

ইয়েমেন সংকটের নেপথ্যে হুথি বিদ্রোহীদের দায়ী করে আসছে সৌদি সরকার। দেশটির দাবি হুথিদের ইন্ধন দিয়ে ইরান মূলত সৌদির সঙ্গে সেখানে প্রক্সি যুদ্ধ চালিয়েছে। যদিও এমন দাবি ইরান বরাবরই অস্বীকার করেছে।

তবে সম্প্রতি তেহরান-রিয়াদ সম্পর্কের পালে হাওয়া লেগেছে। দেশ দুটি আর আগের অবস্থানে নেই। দূতাবাস খোলারও ঘোষণা দিয়েছে।