খলনায়ক মোস্তাফিজ, হারের বৃত্তে দিল্লি

দুই ওভারে ১৯ রান আগলে রাখার চ্যালেঞ্জ ছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের। অমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বোলিং করতে এসে ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান খরচ করলেন ১৫ রান। এমন ব্যাকফুটে চলে যাওয়ার পরও ম্যাচটা হারার আগে হারল না দিল্লি। লড়াই করল শেষ বল পর্যন্ত। ম্যাচ জমিয়ে দেন অ্যানরিচ নর্তজে। দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার প্রথম পাঁচ বলে দেন স্রেফ তিন রান।

দুই ওভারে ১৯ রান আগলে রাখার চ্যালেঞ্জ ছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের। অমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বোলিং করতে এসে ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান খরচ করলেন ১৫ রান...

এ সময়ে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেছেন ব্যাটার টিম ডেভিড। ক্যামেরুন গ্রিন প্রায় নিশ্চিত রান আউটের হাত থেকে বেঁচে যান। থ্রিলার ম্যাচের শেষ বলে দুই রান নিয়ে নাটুকে জয় তুলে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। স্নায়ুঠাসা লড়াইয়ে রোহিত শর্মার দল জিতল ছয় উইকেটে। এবারের আইপিএলে তৃতীয় ম্যাচে এসে মুম্বাই পেল প্রথম জয়ের স্বাদ।

মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠ অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাবে চার উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। দিল্লির এই হারে বাংলাদেশি বাঁহাতি মোস্তাফিজের দায়টা সবচেয়ে বেশি।

চার ওভারে ৩৮ রানে স্রেফ এক উইকেট নেন কাটার মাস্টার। নিজের প্রথম ও শেষ ওভারে বেধরক মার খেয়েছেন তিনি। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে হ্যাটট্রিক চার হজম করা ফিজ রান দিয়েছেন ১৩। পরের দুই ওভারে মিতব্যয়ী বোলিং করলেও শেষদিকে এসে আবারও খেলেন পিটুনি। আর প্রথম তিন ওভারে ৩০ রান খরচ করা নর্তজে শেষটায় দিলেন কেবল পাঁচ।

মুম্বাইয়ের চ্যালেঞ্জিংর রান তাড়ায় দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ইশান কিশান ও রোহিত শর্মা। অষ্টম ওভারে ৭১ রানে কিশানের বিদায়ে ভাঙে জুটি। ঝোড়ো শুরুর পর মন্থর ব্যাটিংয়ে ২৬ বলে ৩১ রান করেন মুম্বাই ওপেনার। আরেক ওপেনার রোহিত ৪৫ বলে ৬৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

২৯ বলে ৪১ রানে ফেরেন তিলক বর্মা। ১৬তম ওভারে তাকে ফেরান মুকেশ কুমার। পরের বলে সূর্যকুমার যাদবকেও শিকার বানান তিনি। জোড়া ধাক্কায় জমে ওঠে ম্যাচ। পরে ডেভিড ও গ্রিন ঝড়ে স্বস্তির জয় নিয়ে ২২ ছাড়ে মুম্বাই। ১১ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিড। ৮ বলে ১৭ রানে অজেয় ছিলেন গ্রিন।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নামা দিল্লি দেড় শ ছাড়ায় অক্ষর প্যাটেলের তাণ্ডবে। ২৫ বলে ৫৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। অথচ ৫১ রান করতে দিল্লি ওপেনার ও অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার খরচ করেন ৪৭ বল! আসরে এটা অস্ট্রেলিয়ান তারকার তৃতীয় ফিফটি। কিন্ত রান পেলেও প্রস্তর যুগের ব্যাটিংয়ের কারণে আবারও সমালোচিত হলেন ওয়ার্নার।

এ ছাড়া দিল্লির হয়ে পৃথ্বি শ ১০ বলে ১৫ ও মনিশ পান্ডে ১৮ বলে ২৬ রানে বিদায় নেন। মুম্বাইর হয়ে সমান তিনটি করে উইকেট নেন পিযুশ চাওলা ও জেসন বেহরেনডর্ফ। দুটি শিকার রিলি মেরেডিথের।

পরবর্তী দিনের খেলা

১২ এপ্রিল, চেন্নাই সুপার কিংস-রাজস্থান রয়্যালস, রাত ৮টা।

দুই দলের পরবর্তী ম্যাচ

১৫ এপ্রিল, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু-দিল্লি ক্যাপিটালস, বিকেল ৪টা।
১৫ এপ্রিল, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স-কলকাতা নাইট রাইডার্স, বিকেল ৪টা।

* স্বাগতিক দল আগে