১০ মরদেহই বিকৃত, যা বলল স্থানীয়রা

কক্সবাজারে ভেসে আসা একটি ট্রলার থেকে উদ্ধার করা ১০টি মরদেহের সবগুলো বিকৃত হয়ে গেছে। এর মধ্যে ছয়টি লাশের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল। এছাড়া মরদেহগুলো ডাকাতদলের সদস্যদের বলে ধারণা স্থানীয়দের।

উদ্ধার করা ১০টি মরদেহের সবগুলো বিকৃত হয়ে গেছে

এদিকে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে ১১টি মরদেহ উদ্ধারের কথা বলা হলেও পরে পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে মোট মরদেহ ছিল ১০টি। মরদেহ বিকৃত হয়ে যাওয়ায় গণনা করতে সমস্যা হয়েছে।

২৩ এপ্রিল, রোববার দুপুরে নাজিরা পয়েন্টে ট্রলারটি ডুবন্ত অবস্থায় ছিল। এ সময় ট্রলারের কোল্ড স্টোর (মাছ রাখার বিশেষ স্থান) থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

কক্সবাজার থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো পচে-গলে বিকৃত হয়ে গেছে। এ জন্য গণনার সময় ভুল হয়েছে। ১০ মরদেহর মধ্যে ৬ জনের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। মরদেহগুলো থেকে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ১৫-১৬ দিন আগে একটি ডাকাত দল সাগরে ডাকাতি করতে গেলে উল্টো হমলা শিকার হয়। ৫-৬টি ফিসিং ট্রলার মিলে ওই ডাকাত দলকে ঘিরে ফেলে এবং হামলা চালায়। হামলায় জলদস্যুরা মারা গিয়েছিল বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু এতদিন ওই দস্যুবাহিনীর ট্রলারের হদিস পাওয়া যায়নি। উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো তাদের বলেই ধারণা স্থানীয়দের।

তবে ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো জেলেদের নাকি জলদুস্যদের তা এখনই বলা যাচ্ছে না। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত হতে ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।

এর আগে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সাগরে আংশিক ডুবন্ত অবস্থায় ছিল ট্রলারটি। ট্রলারে মানুষের হাত দেখা যাচ্ছে এমন খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে কোল্ড স্টোর চেক করতে গিয়ে ১১ অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। অর্ধগলিত হওয়া কাউকে ভালোমতো চেনা যাচ্ছে না।