সবচেয়ে বেশি হজযাত্রী ঢাকায়, বান্দরবানে ২ জন

এবছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৯ দফা সময় বাড়ানোর পর ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৮৬ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন।

সবচেয়ে বেশি হজযাত্রী ঢাকায়, বান্দরবানে ২ জন

এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন ঢাকা জেলা থেকে। আর সবচেয়ে কম নিবন্ধন করেছেন বান্দরবান জেলায়।

২৭ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার হজ নিবন্ধনের জেলা ভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

তালিকায় দেখা গেছে, ঢাকা জেলা থেকে হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৫৫ হাজার ৯ জন। আর বান্দরবান থেকে নিবন্ধন করেছেন মাত্র দুজন।

এবছর যে ১০ জেলা থেকে সবচেয়ে বেশি হজের নিবন্ধন করা হয়েছে সে জেলাগুলো হলো- ঢাকা থেকে ৫৫ হাজার ৯ জন, চট্টগ্রাম থেকে ১০ হাজার ৬২ জন, বগুড়া থেকে ৩ হাজার ৬৪২ জন, কুমিল্লা থেকে ৩ হাজার ১৪৯ জন, ময়মনসিংহ থেকে ২ হাজার ৮৬৬ জন, রংপুর থেকে ২ হাজার ৬৫০ জন, রাজশাহী থেকে ২ হাজার ৪২৭ জন, সিরাজগঞ্জ থেকে ২ হাজার ১৮১ জন, গাজীপুর থেকে ২ হাজার ৯৯ জন, নওগাঁ থেকে ২ হাজার ৪৮ জন, সিলেট থেকে ১ হাজার ৮৪১ জন।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) পক্ষ থেকে বলা হয়, সৌদি আরবের সঙ্গে করা হজচুক্তি অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়। এরপর ৯ দফা সময় বাড়ানোর পরও চুক্তির কোটা পূরণ করা সম্ভব হয়নি।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখনও কোটা পূরণে বাকি ৪ হাজার ৯২৬ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বাকি এক হাজার ৭৮১ জন।

এদিকে ২৬ এপ্রিল, বুধবার ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, হজযাত্রী নিবন্ধনে কোটা পূরণ না হলেও আর বাড়ানো হচ্ছে না হজ নিবন্ধনের সময়। আমাদের হাতে আর সময় নেই। তাই কোটা পূরণ না হলেও সময় আর বাড়ছে না। আগামী ২১ মে হজের প্রথম ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে যাবে।

এ বছর সরকারিভাবে হজ পালনের খরচ প্রথমে নির্ধারণ করা হয় ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা এবং বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় সর্বনিম্ন ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা করে বেশি। এর মধ্যে বিমান ভাড়াই বেড়েছে ৪০ শতাংশেরও বেশি। এছাড়া মক্কা-মদিনায় বাড়ি-ভাড়া ও তাঁবুর খরচ বেড়েছে প্রায় এক লাখ টাকা।

হঠাৎ করে এভাবে দেড় লক্ষাধিক টাকা খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রাক-নিবন্ধনকৃতদের অনেকেই হজ পালনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। পরে অবশ্য উভয় প্যাকেজে ১১ হাজার ৭২৫ টাকা করে খরচ কমিয়ে আনে মন্ত্রণালয়।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৮ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।