আইপিএল: লখনৌর রেকর্ডগড়া রাত

কি দারুণ একটা ম্যাচই না গেল লখনৌ সুপার জায়ান্টসের জন্য। মোহালির ইন্দারজিৎ সিং বিন্দ্র স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৫৬ রানের জয় তুলে নিয়েছে লোকেশ রাহুল বাহিনী। সেই সঙ্গে রেকর্ডবুকে রীতিমতো ঝড় তুলেছে দ্বিতীয়বারের মতো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, আইপিএল খেলতে আসা ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

৫৬ রানে জিতেছে নবীনতম ফ্র্যাঞ্চাইজিটি

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে লখনৌ। শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হন দলটির ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান তারকা ব্যাটার কাইল মায়ার্স। এরপর আইয়ুশ বাদোনি, মার্কাস স্টয়নিস, নিকোলাস পুরানরাও মারকুটে ব্যাটিং করলেন। লখনৌর ব্যাটারদের তাণ্ডবের সামনে স্বাগতিক বোলাররা কতটা অসহায় ছিল সেটা স্কোরবোর্ডে তাকালেই বোঝা যায়।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রানের বিশাল পুঁজি দাঁড় করায় লখনৌ। এটা আইপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ২৬৩ রান করেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।

আইপিএলের ইতিহাসে ২৫০ রান ছাড়ানো দ্বিতীয় দল লখনৌ। লখনৌর এই সংগ্রহ চলমান মৌসুমের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। পাহাড়সম পুঁজির পথে ২৭ চার ও ১৪ ছক্কা মারেন লখনৌর ব্যাটসম্যানরা। বাউন্ডারি থেকেই দলটি তুলেছে ১৯২ রান। ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে চার-ছক্কা থেকে সর্বোচ্চ রানের হিসেবে যা দ্বিতীয়। শুধু তাই নয়, কোটি টাকার টুর্নামেন্টে গত নয় বছরে এত বেশি রান করতে পারেনি আর কোনো দল।

লখনৌকে বড় পুঁজি এনে দিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন স্টয়নিস। ৪০ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৫৪ রান আসে মায়ার্সের ব্যাট থেকে। ২৪ বল মোকাবেলা করেন এই ওপেনার। অবশ্য সবচেয়ে বেশি আগ্রাসী ছিলেন পুরান। ১৯ বলে ৪৫ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান। এছাড়া ২৪ বলে ৪৩ রান করেন বাদোনি।

বিশাল লক্ষ্যের পেছনে ছুঁটতে গিয়ে পাঞ্জাবও কম যায়নি। ১৯.৫ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২০১ রান করে শিখর ধাওয়ানের দল। অর্থাৎ দুই দলের মোট সংগ্রহ ৪৫৮ রান। ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন অথর্ভ টেইড। সিকান্দার রাজার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। জিতেশ শর্মা ও লিয়াম লিভিংস্টোন করেন যথাক্রমে ২৪ ও ২৩ রান।