কলকাতাকে হারিয়ে শীর্ষে গুজরাট

কোনোভাবেই জয়ের ধারায় ফিরতে পারছে না কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেনসে গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে পরাজয় মেনে মাঠ ছাড়তে হয়েছে নাইটদের। এ নিয়ে সবশেষ ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই হার দেখল শাহরুখ খানের মালিকাধীন দলটি।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন আয়ারল্যান্ডের পেসার জস লিটল

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) শনিবার টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান তোলে কলকাতা। জবাবে ১৩ বল বাকি থাকতে তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় গুজরাট। দারুণ বোলিং করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন আয়ারল্যান্ডের পেসার জস লিটল।

এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো গুজরাট। ৮ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ হার্দিক পান্ডিয়ার দলের। অন্যদিকে টুর্নামেন্টে ভালো শুরু করেও পয়েন্ট তালিকায় ৯ ম্যাচ শেষে কলকাতার অবস্থান সাতে। তিন জয়ে নাইটদের পয়েন্ট ছয়।

ম্যাচ শেষে কেকেআর অধিনায়ক নিতিশ রানার কণ্ঠে আক্ষেপ ঝরল ২০-৩০ রান কম হওয়ার। অধিনায়কের আক্ষেপ থাকারই কথা। কারণ প্রায় প্রতি ম্যাচে আগে ব্যাট করা দলগুলোর স্কোর দুইশ ছাড়িয়েছে। তারপরও সেই রানকে বেশ কিছু ম্যাচে মামুলি বানিয়ে ফেলেছে পরে ব্যাট করা দল। সে কারণেই এই রানকে কম মনে হয়েছে রানার।

বৃথা গেলো রহমানউল্লাহ গুরবাজের ৩৯ বলে ৮১ রানের ইনিংসটি

কলকাতার ওপেনিংয়ে সমস্যা দূর হয়নি এই ম্যাচেও। দলীয় ২৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৯ রান করে আরও একবার ব্যর্থতার পরিচয় দেন নারায়ণ জগদ্বিশান। শুরুর উইকেটের মতো নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে দলটি। রহমানউল্লাহ গুরবাজ উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন বটে, তা কাজে লাগাতে পারেনি অন্য ব্যাটাররা।

মিডল অর্ডারে একজন ব্যাটারও দাঁড়াতে পারেননি। বড় জুটি গড়তে না পারার খেসারত দিয়েছে কলকাতা। গুরবাজ শেষপর্যন্ত আউট হয়েছেন ৩৯ বলে ৮১ রান করে। ইনিংসে ৭ ছক্কার সঙ্গে চার মেরেছেন পাঁচটি। শেষ দিকে ১৯ বলে ৩৪ রান করেন আন্দ্রে রাসেল। এ ছাড়া রিংকু সিং করেছেন ২০ বলে ১৯ রান।

গুজরাটের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ শামি। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন নূর আহমেদ এবং লিটল।

দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন বিজয় শঙ্কর ও ডেভিড মিলার

রান তাড়ায় শুরু থেকেই ওভার প্রতি ১০ এর উপরে রান নিয়েছেন গুজরাটের ব্যাটাররা। দলটির ওপেনিং জুটি থামে ৪১ রানে। ৯১ ও ৯৩ রানে দুটি উইকেট পড়লেও দলকে চাপে পড়তে দেননি বিজয় শঙ্কর এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার। দুই ব্যাটার মিলে ৩৯ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

গুজরাটের পক্ষে সর্বোচ্চ রান ২৪ বলে ৫১ রান করেন বিজয়। ৫ ছক্কা আর দুই বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। শুভমান গিলকে ফিফটি বঞ্চিত করেছেন সুনীল নারাইন। ৩৫ বলে ৪৯ রান করে উইন্ডিজ স্পিনারের বলে বোল্ড হন তিনি। এর মধ্য দিয়ে পাঁচ ম্যাচ উইকেটশূন্য থাকার পর উইকেটের দেখা পেলেন নারাইন। পান্ডিয়াকে ২০ বলে ২৬ রানে রেখে আউট করেন হারশিত রানা।

দুই দলের পরবর্তী ম্যাচ

আগামী ৪ মে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
এর আগে ২ মে দিল্লি ক্যাপিটালসকে মোকাবেলা করবে গুজরাট টাইটানস।