ডিআর কঙ্গোয় বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০০

ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোয় (ডিআরসি) বন্যা ও ভূমিধসের ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০৩ জনে দাঁড়িয়েছে। বুশুশু এলাকার ধ্বংসস্তূপ থেকে ২০৩টি মৃতদেহ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কালেহে অঞ্চলের প্রশাসক থমাস বাকেঙ্গা গতকাল শনিবার বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিবেশী রুয়ান্ডায় বন্যায় কমপক্ষে ১৩১ জনের মৃত্যুর দুদিন পর কঙ্গোয় এই বিপর্যয় ঘটল। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ডিআর কঙ্গোয় মৃতদেহ দাফন ঘিরে গ্রামাবাসী

ডিআরসির প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেডি নিহতদের সম্মান জানাতে আজ সোমবার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার প্রাদেশিক সরকারকে সমর্থন করার জন্য দক্ষিণ কিভুতে উদ্ধার টিম পাঠিয়েছে।

ওই প্রশাসক স্থানীয় গণমাধ্যমকে এর আগে বলেছিলেন, দুর্যোগে মৃত্যুর সংখ্যা কমপক্ষে ১৭৬ জন মারা গেছে। গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কিভু প্রদেশের কালেহে অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নদী ভেসে বুশুশু এবং ন্যামুকুবির গ্রামগুলোতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।

বাকেঙ্গা বলেন, ন্যামকুবির পাহাড়ি পথে সাপ্তাহিক বাজার ছিল। এলাকাটিকে ভূমি ধসে বিপর্যয় ডেকে এনেছে। বন্যায় বেশ কিছু গ্রাম তলিয়ে গেছে। অনেক ঘরবাড়ি ভেসে গেছে ও বিধ্বস্ত হয়েছে। নদীগুলো প্রবল বর্ষণে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কঙ্গোলিজ চিকিৎসক নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ডেনিস মুকওয়েগে বন্যা আক্রান্তদের জরুরি চিকিৎসা সহায়তার জন্য সার্জন, অ্যানেস্থেটিস্ট এবং প্রযুক্তিবিদদের একটি দল পাঠিয়েছেন।

মৃতদের সন্ধান ও দাফন করতে সহায়তাকারী উদ্ধারকর্মী মিচাকে এনটামানা বলেন, গ্রামবাসীরা এখনও স্বজনদের লাশ খুঁজছে। তারা মৃতদের দাফন করতে চায়। পাহাড়ের উঁচু গ্রাম থেকে ভেসে আসা কিছু লাশ গাছের পাতা দিয়ে দাফন করা হচ্ছে। এটি সত্যিই দুঃখজনক, কারণ আমাদের এখানে আর কিছুই নেই।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শনিবার রুয়ান্ডা ও ডিআরসিতে ‘বিপর্যয়কর বন্যায়‘ ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। বুরুন্ডি সফরের সময় তিনি বলেন, এসব দুর্যোগ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির দৃষ্টান্ত এবং বিশ্ব উষ্ণায়নে দায়ী নয় এমন দেশগুলো বিপর্যয়কর প্রভাবের শিকার হচ্ছে।