শান্ত’র দুর্দান্ত শতক, জয় পেল বাংলাদেশ

জেতার জন্য শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৫ রান। মার্ক আদাইরের করা প্রথম দুই বলে কোনো রান নেননি স্ট্রাইকে থাকা মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় ডেলিভারিটা নো করেন আদাইর। এক রান পায় বাংলাদেশ। পরের বলেই দৃষ্টিনন্দন স্কুপ শট খেলে বাউন্ডারি মারেন মুশফিক। ৩ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।

সেঞ্চুরির পর শান্ত’র উদযাপন

বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচের শেষ দিকের ঘটনার সার সংক্ষেপ এতটুকুই। যদিও এর পেছনের গল্পটা মোটেও সহজ ছিল না সফরকারীদের জন্য। অপ্রতিরোধ এই জয়ের মূল কারিগর নাজমুল হোসেন শান্ত। দুর্দান্ত শতক হাঁকিয়েছেন এই ওপেনার। পাশাপাশি ব্যাট হাতে দারুণ দৃঢ়তা দেখিয়েছেন মুশফিক ও তৌহিদ হৃদয়।

বৃষ্টির কারণে এদিন পুরো ৫০ ওভার খেলা হয়নি। ম্যাচ নেমে আসে ৪৫ ওভারে। কার্টেল ওভারের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৩১৯ রান জড়ো করে আইরিশরা। বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুঁটতে গিয়ে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৪২ রানেই তামিম ইকবাল ও লিটন দাসকে হারায় টাইগাররা। সেই সঙ্গে আস্কিং রান রেটও বেড়ে যায়।

তৃতীয় উইকেটে ৬১ রান যোগ করেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান। ২৬ রানে বিদায় নেন সাকিব। অন্যপ্রান্তে অবিচল ছিলেন শান্ত। পঞ্চম উইকেটে হৃদয়কে নিয়ে গড়েন ১৩১ রানের জুটি। এ সময় দুইজনই করেছেন মারকুটে ব্যাটিং। জর্জ ডকরেলের শিকার হওয়ার আগে ৫৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন হৃদয়।

সঙ্গী হারালেও শান্ত’র ব্যাটে ঝড় থামেনি। ৮৩ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকান তিনি। অবশেষে ব্যক্তিগত ১১৭ রানে থামেন শান্ত। ৯৩ বলে ১২ চারের পাশাপাশি হাঁকান ৩টি ছয়ের মার। এর কিছুক্ষণ পর ১৯ রান করে আউট হন মেহেদি হাসান মিরাজ। ২৮ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন মুশফিক।

এর আগে হ্যারি টেক্টর এবং জর্জ ডকরেলের ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড। এবাদতের শিকার হওয়ার আগে ১১৩ বলে ১৪০ রান করেন টেক্টর। ৪৭ বলে ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ডকরেল। এছাড়া ৪২ রান করেন বালবার্নি।